নো মাস্ক নো সার্ভিস’ স্লোগানে করোনা প্রতিরোধে সবার জন্য বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারে উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। দেশের প্রতিটি মসজিদের মাইকে মুসল্লিদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার প্রচারণার বিষয়টি নির্দেশনা আকারে জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
শুধু মসজিদই নয়, দেশের প্রতিটি মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাকে কার্যকর হবে। গত রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয় বাধ্যতামূলক মাস্কের ব্যবহারের এ নির্দেশনা জারি করেছে।
প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপে ব্যাপক সংক্রমণ মোকাবিলায় সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে নিঃসন্দেহে এটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ পদক্ষেপ সংক্রমণরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মুখে মাস্ক পরার বিষয়টি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে মসজিদের মাইকে প্রচার করা হবে। এ ছাড়াও মসজিদের ফটকে মাস্ক পরার বিষয়টি উল্লেখ করে ব্যানার টানানোর বিষয়টিও নিশ্চিত করতে মসজিদ কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে-
– মসজিদে সকল মুসল্লির মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করে প্রবেশের জন্য মসজিদের মাইকে প্রচারণা চালাতে হবে। এ বিষয়ে মসজিদের ফটকে ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। বিষয়টি মসজিদ কমিটি নিশ্চিত করবেন;
-কিছুক্ষণ পরপর সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
– ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বিষয়ে সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে সচেতন করার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
– ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’এ স্লোগানটি সব উন্মুক্ত স্থানে প্রদর্শন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে পোস্টার বা ডিজিটাল প্রদর্শনীর মাধ্যমে তা জানাতে হবে।
মসজিদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্মের অনুসারীরা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরেই তাদের উপাসনালয়ে প্রবেশ করবেন। মাস্ক পরে উপাসনালয়ে প্রবেশের বিষয়টিও তাদের উপাসনালয়ের প্রধান ফটকের ব্যানারে উল্লেখ করতে হবে। উপাসনালয় পরিচালনা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
মসজিদসহ অন্যান্য সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি মাইকে প্রচার-প্রচারণা করতে স্থানীয় প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হিন্দুধর্মীয় ট্রাস্ট, বৌদ্ধধর্মীয় ট্রাস্ট ও খ্রিষ্টানধর্মীয় ট্রাস্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়।