নিজস্ব প্রতিবেদক : একরকম প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েই লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে নিরবে চলছে ড্রেজার সন্ত্রাস ! আবাদি-অনাবাদি জমি,পুকুর,নালা নর্দমা এমনকি মানুষের ঘর ভিঁটার নিছে শুড়ং সৃষ্টি করে চলছে ডেজ্রার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনের নিরব সন্ত্রাস।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কোথাও না কোথাও এই সন্ত্রাস অব্যাহত থাকছে প্রতিনিয়ত। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এসব ড্রেজার মেশিন বন্ধে অভিযান চালিয়ে মেশিন নষ্ট করে দেওয়া বা পাইপ ভাংচুর করে দিয়ে আসলেও পরক্ষনেই আবার নতুন মেশিন ও পাইপ স্থাপনের মধ্যে দিয়ে নির্দিধায় চলে মাটি উত্তোলনের কাজ। ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনের ফলে মাটির গভীরে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে ঐ জায়গাটি পাহাড় ধ্বসের মত ধ্বসে পড়ে জান-মালের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করেন অভিজ্ঞ জন’রা।
রায়পুর উপজেলার ২নং চরবংশী ইউনিয়ন,মেঘনা বাজার,উদমারা,৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন,৭নং বামনী,৮নং দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মেশিন বসিয়ে মাটি উত্তোলনের কাজ অবাধে চলছে বলে একাধিক সূত্র থেকে জানাযায়। নির্ভর যোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখাযায় উপজেলার ৭নং বামনী পূর্ব কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ ভূঁইয়া গাজী পাটাওয়ারী বাড়ি সংলগ্ন একটি স্থানে প্রায় ২ একর জায়গা জুড়ে চলছে মাটি ভরাটের কাজ।
শুধু তাইনয়,প্রধান রাস্তার উপর পাইপ বসানোর কারণে রাস্তা দিয়ে রিক্সা ভ্যান চালিয়ে যাওয়াও বন্ধ করে রেখেছে একরকম ভাবে।
এখানে জনৈক শহিদ নামের ভ্যান গাড়ি দিয়ে সব্জি বিক্রয়কারী রাস্তা পার হওয়ার সময় পাইপ ভেঙ্গে গেলে ৫শ টাকা জরিমানা করারও নির্মম সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। অপরদিকে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নের কয়াল বাড়ির পূর্বে এখানেও রয়েছে একটি ড্রেজার মেশিন (পাকা রাস্তার মাথায় হাতের ডানপাশের বাড়ির পিঁছনে), দীর্ঘদিন ধরেই মাটি উত্তোলনের কাজ করে আসছে বলে জানাযায় ঐ ব্যাক্তি।
প্রায় ১কিলোমিটার জায়গা জুড়ে পাইপ স্থাপনের এই নিরব সন্ত্রাস কবে বন্ধ হবে জানেন না কেউই। উপজেলার কৃষি জমির সুরক্ষা,মানুষের ঘরবাড়ি ও জানমালের নিরপত্তা স্বার্থে এসব অবৈধ ড্রেজার মেশিন চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন স্থানীয় প্রশাসন এমটাই দাবি করছেন এলাকার নিরিহ জনগণ।