April 24, 2024, 12:02 am

অপপ্রচারকারীদের বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় নয়

সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মাঠের রাজনীতিতে সফলতা না পেয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে যারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সত্য প্রচারে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যাগে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর্থ-সামাজিকসহ প্রতিটি খাতে অর্জন করে চলছে ঈর্ষনীয় সাফল্য। এসব অর্জনের ধারা বর্ণিল করে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের আইসিটি খাতে ইতোমধ্যে ঘটেছে নীরব বিপ্লব। রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত জনপদে আজ হাতের মুঠোয় বিশ্ব যোগাযোগের নেটওয়ার্ক।

দেশের গণতন্ত্র এখনও বিকাশমান ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে নানা ঘাত-প্রতিঘাতে এগিয়ে যাওয়ার পথে শিশু গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশের মানুষ ১/১১ এর স্মৃতি এখনও ভুলে যায়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে বিএনপি ২০০৬ সালের শেষ দিকে যেন-তেন নির্বাচন দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।

ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল বিএনপি।

২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ঘটে যাওয়া গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় ক্ষত তৈরি করা হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অপচেষ্টা এবং একগুঁয়েমির কারণে সৃষ্টি হয়েছিল এক-এগারো। বাধাগ্রস্ত হয় গণতন্ত্রের চলমান ধারা।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে সরকারকে সহযোগিতা করুন। একদিকে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবেন, অপরদিকে অগণতান্ত্রিক কাজ করলে গণতন্ত্রের শতফুল বিকশিত হওয়ার পথ বিঘ্নিত হবে।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল মানুষ পাচ্ছে বলেই বারবার তার প্রতি আস্থা রেখেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরকারের উন্নয়নকাজের প্রচার অব্যাহত রাখতে এক একজনকে হতে হবে সাহসী সৈনিক।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সিআরআইর সদস্যরা।



ফেসবুক পেইজ