April 19, 2024, 8:45 am

এবার বন্ধ হয়ে গেল ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলও

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্পের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বন্ধের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হল গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও-শেয়ারিং সাইট ইউটিউব। খবর বিবিসির।

আগামী সাত দিন পর্যন্ত ট্রাম্প ইউটিউবে নতুন ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন না অথবা কোনো ভিডিও সরাসরি সম্প্রচারও করতে পারবেন না। গুগল জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার দিন আরও বাড়ানো হতে পারে। ক্যাপিটল ভবনে সহিংসতায় উসকানি দেয়ার মাধ্যমে ট্রাম্পের চ্যানেল ইউটিউবের নীতি ভঙ্গ করেছে বলে জানায় গুগল।

বুধবার এক বিবৃতিতে গুগল জানায়, ‘যাচাই করার পর এবং সহিংসতার সম্ভাবনার ব্যাপারে উদ্বেগ থাকায় আমাদের নীতি ভঙ্গের কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চ্যানেলে নতুন কনটেন্ট আপলোডের সুযোগ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সহিংসতার ব্যাপারে উদ্বেগের কারণে আমরা অনির্দিষ্টভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চ্যানেলে মন্তব্য করার সুযোগও বন্ধ করে দিত পারেই। মন্তব্য সেকশনে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থাকায় আমরা এরকম পদক্ষেপ আরও কিছু চ্যানেলের বিরুদ্ধেও নিয়েছি।’

গতকালও ট্রাম্প তার চ্যানেলে বেশ কয়েকটি ভিডিও আপলোড করেছেন যেগুলো এখনো অনলাইনেই রয়েছে। ভিডিওতে ঠিক কী বলার কারণে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল তা গুগল পরিষ্কার করেনি।

একাধিক নাগরিক অধিকার সংগঠন ইউটিউবের বিজ্ঞাপন বন্ধের হুমকি দেয়ার পরপরই গুগল এই পদক্ষেপ নিল। গত বছর ফেসবুকের বিরুদ্ধে একই রকম উদ্যোগ নিয়েছিলেন আইনজীবী জিম স্টেয়ার। তিনি ট্রাম্পের চ্যানেলটির বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নিতে গুগলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন চ্যানেলটি অফলাইন করে দেয়া হয়।

টুইটারে এক পোস্টে জিম বলেন, ‘আমরা আশা করি তারা (গুগল) এটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবে। এটি হতাশাজনক যে এই পদক্ষেপ নিতে ট্রাম্পের উসকানিমূলক আক্রমণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল। তবে দেখা যাচ্ছে বড় প্লাটফর্মগুলো ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।’

গুগল জানায় তাদের তিন ধাপের নীতি ভঙ্গ করলে ট্রাম্পের চ্যানেল স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে টুইটার ট্রাম্পর অ্যাকাউন্ট চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।



ফেসবুক পেইজ