April 19, 2024, 11:16 am

স্ত্রী’র কাছে যাওয়া হলো না ইমাম মাসুম বিল্লাহ’র

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: মোঃ মাসুম বিল্লাহ (২৬)। ৬ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ও ৩ বছরের এক ছেলেসহ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। তিনি শহরের একটি পাঞ্জেগানা মসজিদের ইমাম। রোববার (১৯এপ্রিল) সন্ধায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শহরের পোষ্টঅফিস সংলগ্ন একটি পাঞ্জেগানা মসজিদে মাগরিবের নামাজ শেষে বাইসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় কেজি স্কুলের সামনে তিন যুবকের বহনকারি বেপরোয়া মটরসাইকেলের আঘাতে মারাতœক জখম হন তিনি। রাতে ঢাকা ফ্রেন্ডস হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে মৃত মাসুম বিল্লাহকে তার গ্রামের বাড়ীতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ওই রাতেই দেনায়েতপুর গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে বখাটে সাইদসহ তার তিন বন্ধুকে না পেয়ে তাদের মোটরসাইকেল থানায় আটক রেখেছে পুলিশ।
নিহত ইমাম মোঃ মাসুম বিল্লাহ উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের কৃষক ওসমান গনির ছোট ছেলে। তারা তিন ভাই-এক বোন।
মাহফুজ নামের মুসুল্লিসহ-কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাসুম বিল্লাহ গত এক বছর এ মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। মসজিদের ৪’শ গজ দুরেই তার ৬ মাসের অন্তসত্তা স্ত্রী ও তিন বছরের এক শিশু মেয়ে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন। রোববার সন্ধায় মসজিদে ইফতার ও নামাজ পড়ে বাইসাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিলেন। এসময় বিপরিত দিক বেপরোয়া বখাটে সাইদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিটকে পড়ে মারাতœক জখম হন মাসুম বিল্লাহ। তাকে উদ্দার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা ফেন্ডসীফ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতেই তিনি লাইফ সাফোর্টে মারা যান তিনি।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, মসজিদের ইমামের মৃত্যুটি কষ্টদায়ক। গরিব মানুষ হওয়ায় ও অভিযোগ না থাকায় ও অনুরোধ করায় দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এঘটনায় একটি সাধারন ডায়রি করা হয়েছে।



ফেসবুক পেইজ