March 24, 2024, 6:15 pm
ব্রেকিং :

রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে জখম: ৯৯৯-এ ফোন, হাসপাতালে নিলো পুলিশ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে জখম ও এসময় স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে স্ত্রীকেও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে বড় ভাইসহ তার পরিবার। এসময় বসতঘর ভাংচুর করে লুটপাট করারও অভিযোগে–৯৯৯ নম্বরের এক ফোনে স্ত্রীসহ রাজমিস্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন পুলিশ। এতে আহত ওই রাজমিস্ত্রীর মাথায় ১১ সেলাই দেয়া হয় এবং ডান হাত ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় (৩১ জুলাই) লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দেবিপুর গ্রামের ইদখোলা এলাকায়।
এ ঘটনায় রাতে থানায় ৮ জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আহত সৈয়দ আহাম্মদ।
শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধায় উপজেলার দেবিপুর গ্রাম থেকে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় ৯৯৯-এ পাওয়া খবরে ওসির নির্দেশে ওই রাজমিস্ত্রী দম্পত্তিকে উদ্ধার করে রায়পুর থানা পুলিশ।
জানা যায়, দেবিপুর গ্রামের মৃত হেদায়েত উল্যাহ দুই বছর আগে ৪৩ শতাংশ জমির মধ্যে তার ছোট তিন ছেলেকে ৯ ডিসিম ৮৫ শতাংশ করে দেন। কিন্তু তাদের বড় ভাই সুলতান আহাম্মদ তার পিতাকে কৌশলে পিতার কাছ থেকে বাকি সম্পদ হেবার নামে দিয়ে যান। সুলতানের এবিষয়টি ছোট ভাইয়েরা জানতেন না।
তখন পিতা জিবীত অবস্থায় চার ভাই বসতঘর করে তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তখন কেও কাউকে বসতঘর তুলতে বাধা দেয়নি। শনিবার বিকালে রাজমিস্ত্রী সৈয়দ আহাম্মদ তার কাঁচা ঘরে ভেঙ্গে ৮ কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ভবন করছিলেন। এসময় সুলতানসহ তার পরিবারের সৈয়দের ওই ঘর থেকে দুটি কক্ষ দাবি করে বসেন। এতে সৈয়দ ও তার স্ত্রী বাধা দিলে তাদের উভয়ের মধ্যে কথা কথাকাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে সুলতানসহ তার অনুসারিরা সৈয়দ আহাম্মদ দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা ও পিঠে গুরুত্বর জখম করে বসতঘর ভাংচুর চালায়। এসময় তার স্ত্রীকেও লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ঘরের মুল্যবান জিনিষ লুটে নেয়। এসময় স্থানীয়রা কেও তাদের বাঁচাতে এগিয়ে না এলে এক গ্রামবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ঘটনা জানান। সেখান থেকে রায়পুর থানার ওসিকে জানানো হলে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে ওই দম্পত্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে সুলতান মিয়া মোবাইলে বলেন, আমার বাবা মারা য়াওয়ার আগে আমাকে ওই জমি দিয়ে গেছেন। সেই জমিতে ছোট ভাই ভবন তুলছে। জানতে চাইলে সৈয়দ ও তার স্ত্রী আমাকে মারধর করেন। তাই আমরাও মারধর করেছি।
১০নং রায়পুর ইউপি সদস্য তরিক উল্যা মিয়াজি বলেন, সুলতান খুব খারাফ লোক। জিবীত অবস্থায় বাবাকে জিম্মি করে অনেকগুলো জমি কৌশলে লিখে নেয়। এখন ছোট ভাই ভবন করতে কুপিয়ে জখম করেছে। সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, ৯৯৯ ফোনে জানতে পেরে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে রাজমিস্ত্রীসহ তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে মামলা দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।



ফেসবুক পেইজ