April 19, 2024, 12:12 am

করোনার ছোবলে ঋণ গ্রহন বন্ধ বাকীতে খাদ্য কিনতে হয় লক্ষ্মীপুরের খামারী মাকসুদের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: গত ৩ বছর ধরে লেয়ার মুরগী খামার পরিচালনা করে আসছে বর্তমানে ২ হাজার লেয়ার মুরগী রয়েছে। প্রতিদিন ২৫০ কেজী খাদ্য দিতে হয় যার বাজার মূল্য ১০ হাজার টাকা। চলমান করোনা সংক্রমের কারনে বেশীর ভাগ প্রতিষ্ঠান ঋণ দিচ্ছেনা। ফলে বাকীতে অধিক দামে খাবার কিনতে হচ্ছে। মুরগী খাবারের দাম বেশী থাকার কারনে উৎপাদন খরচ উঠছে না।
রোববার সকালে সরেজমিনে গেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামের মৃত: মফিজ উল্যা হাওলাদারের পুত্র লেয়ার মুরগী খামারী মো: মাকসুদুর রহমান এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ২০০০ স্কয়ার ফুট জায়গা নিয়ে বাড়ির পাশে লেয়ার মুরগী দিয়ে খামার ব্যবসা শুরু করেন ২ লাখ টাকা পুঁজিতে। ছোট মুরগী ৬ মাস হলে ডিম দেওয়া শুরু করে তবে ১৮ মাস পর্যন্ত ডিম দেয়। কিন্তু সম্প্রতি কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে তার প্রায় ৩ শতাধিক মুরগী মারা যায়। পরে তিনি দ্রুত কম টাকায় বাকী মুরগী গুলো বিক্রি করে দেন। বর্তমানে খামারে ২ হাজার লেয়ার মুরগী রয়েছে।
প্রতিদিন তাদের জন্য ১০ হাজার টাকার খাদ্য দরকার। কিন্তু অর্থ সংকটের কারনে বাকী অধিক দামে খাদ্য ক্রয় করতে হয়। ফলে ডিম ও মুরগী বিক্রিতে যে টাকা আসে তার বেশীর ভাগ চলে যায় খাদ্য কিনতে। খামারের স্থান বড় করে কিছু মালামাল ক্রয় করেছেন। আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তিকে মাসিক ১৫০০০ টাকা বেতনে নিয়োগ করেন প্রতিষ্ঠানে। ফলে কর্মচারী বেতন, বিদ্যুৎ বিল, মুরগী খাবারসহ বিভিন্ন খরচ ঠিকমতো উত্তোলন করতে পারছেনা তিনি।
সম্প্রতি তিনি বেসরকারী এনজিও ব্র্যাক থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য ঋণ সহায়তা চেয়েছেন কিন্তু তাকে জানানো হয়েছে চলমান করোনা সংক্রমনের কারনে তিনি ঋণ পাবেনা। ফলে এক রকম হতাশ হয়ে পড়েছেন এই খামারী।
প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে একবার সরকারী প্রণোদনা কিছু সহায়তা পেলেও ওই কার্যালয় থেকে কোন ধরনের পরামর্শ সহায়তা পাইনি মাকসুদুর রহমান।
উপজেলা/ জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী খামার দেখতেও যায়নি এমনকি খবরও নেয়নি। ফলে নিজের উদ্যোগে একক ভাবে কার্যক্রম চালাচ্ছে সেই। সরকারী ভাবে পাচ্ছেনা কলেরা রোগের ওষুধ কিংবা কোন ধরনের মুরগী ভ্যাকসিন।
মাকসুদুর রহমান বলেন, খাদ্য দাম কমানো, মুরগী কলেরা রোগের ওষুধ, ভ্যাকসিন, পশু কর্মকর্তাদের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, সরকারী বেসরকারী ভাবে ঋণ সহায়তা পেলে সংকট কাটিতে লাভ জনক ব্যবসা করতে পারবেন তিনি। এ ব্যাপারে পশু সম্পদ কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সহযোগীতা চান তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: যোবায়ের হোসেন জানান, ওই খামারের বিষয়ে জানা ছিলনা। যদি খামারী ঋণ কিংবা খামার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কোন সহযোগীতা চান তা হলে আবশ্যই তাকে সহযোগীতা করা হবে। এ ছাড়া ওই খামার আমি পরিদর্শন করবো।



ফেসবুক পেইজ