April 16, 2024, 3:00 am

রায়পুরে বছরে শত কোটি টাকার পানের উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিনিধি: পান বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল,ধান,পাট,গম,চা,সয়াবিনের মতই বর্তমানে পানও বাংলাদেশে আরেকটি অর্থকারী ফসলের সমতূল্য। বিভিন্ন উৎসবে পানের রয়েছে ব্যপক কদর। আবহমান গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরেই অতিথি আপ্যায়নেও রয়েছে পানের বিশেষ কৃতিত্ত্ব, ফলে বর্তমানে দেশে প্রচুর পরিমানে পানের চাষ করা হচ্ছে। বৃহত্তর নোয়াখালী অ লে পান চাষের জন্য অন্যতম একটি স্থান হচ্ছে রায়পুর উপজেলাধীন ১নং ইউনিয়নস্থ ক্যাম্পের হাট গ্রাম, এখানে বর্তমানে ছোট—বড় মিলিয়ে প্রায় লক্ষাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই গ্রামের শতকরা ৯৫ ভাগ লোকই কোননা কোনভাবে পান চাষের সাথে সম্পৃক্ত। জানাযায়, ক্যাম্পের হাটের এই পান বৃহত্তর নোয়াখালী অ লের চাহিদা মিটিয়েও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে প্রতি বিঁড়া পান ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে পাইকারি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে,আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে। রায়পুর উপজেলায় প্রায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়ে থাকে, কিন্ত শুধুমাত্র ক্যাম্পের হাটের পানই বছরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় শতকোটি টাকা। এখানকার পান অত্যন্ত সুমিষ্ট হওয়ায় এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সাধারণত মাঘ ফাল্গুন এবং চৈত্র মাসে পান চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়ে থাকে, এবং আষাঢ়,শ্রাবণ,ভাদ্র ও আশি^ন মাস নাগাদ পান পরিপূর্ণ হয়ে বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে ওঠে। লতানু এই পান চাষের জন্য পুরনো লতা সংগ্রহ পূর্বক প্রস্তুতকৃত জমিতে লাগানো হয়,আর একবার লাগিয়ে দিলে পরবতীর্ বছর থেকে এক বছরে তিনবার ফলন নেওয়া সম্ভব হয় বলে জানান এখানকার পান চাষীরা। ক্যম্পের হাটের পান চাষী কৃষ্ঞ বিশ্বাস জানান, তার ৩৫০ টি পানের বরজ রয়েছে,কিন্তু বর্তমানে বাজারে পানের দাম কম হওয়ায় পান চাষে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ,সার কীটনাশক,খৈলসহ ইত্যাদি কিনতে তাদেরকে হিমশীম খেতে হচ্ছে। এছাড়া পানের বরজের যত্ন আত্নিতে প্রতিদিনই দুই তিন জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়,প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তাদের মজুরি দিতে হয় ৫শ টাকা করে,ফলে পানের দাম কম হওয়ায় এখন তাদেরকে লস গুনতে হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা পান চাষে অধিক লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তিনি।



ফেসবুক পেইজ