April 16, 2024, 2:59 am

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ৬ ভরি স্বর্ণ উধাও

ইসলামী ব্যাংক লক্ষ্মীপুরের রায়পুর শাখার লকারে ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার জমা রেখেছিলেন নাজমুন নাহার নাম এক গ্রাহক। লকারের চাবিও তার কাছেই ছিল। রবিবার ব্যাংক গিয়ে লকার খুলে দেখেন ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার উধাও।

এ ঘটনায় ওই রাতেই রায়পুর থানায় লিখিত অভিযাগ করেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থর পরির্দশন করে ব্যাংক ম্যানজারের বক্তব্য শুনেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নাজমুন নাহার ওই উপজেলার বামনী গ্রামের নজির আহমদের স্ত্রী।

রবিবার বিকালে ব্যাংক থেকে স্বর্ণালঙ্কার আনতে গিয়ে বিষয়টি টের পান তিনি। অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে নাজমুন নাহার ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখায় একটি লকার একাউট খোলেন। তাকে ব্যাংকের ১৮ নম্বর লকারটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। তিনি সেখানে ছোট-বড় দুটি হার, একটি নেকলেস, দুই জােড়া চুড়ি, এক জােড়া কানের দুল, এক জােড়া ঝুমকা, একটি বড় আংটিসহ ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার রাখেন।

লকারের একটি চাবি নাজমুন নাহারকে দেওয়া হয়, অন্যটি রেখে দেয় ব্যাংক কর্তপক্ষ। নাজমুন নাহার জানান, গত ৯ মাসে লকারটি একবারের জন্যও খােলা হয়নি। রবিবার দুপুরে তিনি ব্যাংকে গিয়ে ১৮ নম্বর লকারটি খুলে দেখতে পান সেখানে কিছু স্বর্ণালঙ্কার নেই। বিষয়টি ব্যাংক কর্তপক্ষকে জানালে তারা টালবাহানা শুরু করে।

পরে ম্যানেজার এস-২০ নম্বর লকারটি খুলে ২২ ভরির মতাে স্বর্ণালঙ্কার বের করেদেন। ম্যানজারের কাছে ১৮ নম্বর লকারের স্বর্ণ ২০ নম্বর যাওয়া এবং ৬ ভরি স্বর্ণ কম থাকার কোন ঘটনা ব্যাখ্যা দিতে না পারায় রবিবার রাতেই নাজমুন নাহার রায়পুর থানায় লিখিত অভিযােগ করেন। ইসলামী ব্যাংকের রায়পুর শাখার ম্যানজার মাে. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের লকার চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী আছে।

লকার থেকে স্বর্ণ চুরি বা উধাও করা কঠিন। লকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই আমরা এর সমাধান করবো। গ্রাহকের অভিযােগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করে গেছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক নাজমুন নাহার বলেন, ওমরাহ করতে যাওয়ার আগে বাড়ি থেকে ২৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এনে ব্যাংকের লকারে রেখেছি। এখন লকার খুলে পেয়েছি ২২ ভরি।

একটি চেইন, দুটি কানের দুল, দুটি রিং ও একটি নুপুর পাওয়া যায়নি। এগুলাের ওজন ৬ ভরি। পুলিশ ব্যাংকে গিয়ে তদন্ত করেও অনেক গড়মিল পেয়েছে। রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, ব্যাংকের লকার থেকে স্বর্ণ গায়েবের অভিযােগ পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে ব্যাংক ম্যানজারের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।



ফেসবুক পেইজ