April 21, 2024, 7:46 pm

লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে হঠাৎ উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল

প্রতিনিধি: আগামীকাল ঈদুল ফিতর। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই লক্ষ্মীপুর শহরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে সয়াবিন তেল, বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেল। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। আজ সোমবার (২ মে) লক্ষ্মীপুরের বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা অনেকক্ষণ ধরে বাজারে ঘোরাঘুরি করছেন তেলের জন্য কিন্তু পাচ্ছেন না। ঈদের আগে এমন অবস্থা হলে কীভাবে কী করবেন তা নিয়ে চিন্তিত তারা। এদিকে দোকানিরা বলছেন, তাদের কোনো দোষ নেই, কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। সেজন্যই তেল নেই। তারা আরো বলেন, এক সপ্তাহ ধরেই বাজারে তেলের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
এ দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের বাজারের চিত্রও একই রকম। সেখানকার এক দোকানি জানান, এক সপ্তাহ ধরে এ পরিস্থিতি চলছে। এ সময়ে বড়জোর তিনদিন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। আবার পাইকারি মূল্যও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে সরবরাহকারীরা। এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫৯ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে খুচরা বাজারে ১৬০-১৮০ টাকা লিটারে বিক্রি করতে হচ্ছে দোকানিদের। এ কারণে দোকানিরা ক্রেতাদের তেলের সঙ্গে অন্যান্য সদাই নিতে বাধ্য করছেন।
দেশের ভোজ্যতেলের বাজার মূলত আমদানি নির্ভর। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওপর তেলের দাম অনেকটা নির্ভর করে। যদিও অর্থনীতিবিদদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক বাজারে দর বাড়ার কারণে দেশের বাজারে দর যতটা বাড়ে, তার চেয়ে বেশি বাড়ে স্থানীয় বাজারের কারসাজির কারণে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্ববাজারে সয়াবিনের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। আর্জেন্টিনার রফতানি সীমিত করার ঘোষণা এবং ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রফতানি বন্ধের ঘোষণার পর দাম বাড়ার নতুন নতুন রেকর্ড হয়। দেশেও দাম না পেয়ে আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। আবার ‘ঈদের পরে দাম বাড়বে’ চিন্তা থেকেও মজুতের প্রবণতা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব কারণের ফলাফল সয়াবিন তেল সংকট।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার অমিত কুমার বিশ^াস জানান সয়াবিনের সংকট বিষয়টি কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তবে রাতেই শহরের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। পন্যের সংকট ও কারসাজী কারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



ফেসবুক পেইজ