April 13, 2024, 7:57 pm

রায়পুরে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলায় ওই অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে রোববার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।গ্রেপ্তার অধ্যক্ষ মাওলানা অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন (৫২) উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের মোল্লারহাট গ্রামের মৃত মোবারক আলির ছেলে। রোববার সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের মীরগঞ্জ সড়কের আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে পৌর শহরের মীরগঞ্জ সড়কে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটিতে ছেলে ও মেয়েদের অনাবাসিকভাবে পাঠদান করা হয়।
প্লে থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। নিজাম উদ্দিন ওই প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তিনি রায়পুর সরকারি হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব । এ ছাড়াও উপজেলা জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারীর দায়িত্বে ছিলেন।
অধ্যক্ষ নিজামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বেলা ৯টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার কয়েকজন সহপাঠি নিয়ে শ্রেণীকক্ষের সামনে সকালের নাস্তা করছিলো। পরে অধ্যক্ষ তার কক্ষে নিয়ে তয় শ্রেণির ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেন তিনি। পরে ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার মা ও নানু স্থানীয় নারী কাউন্সিলরকে ঘটনাটি জানায়। তারা বিষয়টি অন্য অভিভাবকদের জানান।
রোববার সকাল ১০টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনকে আটক করেন অভিভাবকেরা। খবর পেয়ে থানা– পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ লোকজন মাও. নিজাম উদ্দিনকে বিচারের দাবিতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা রোববার দুপুরে বাদী হয়ে অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেন। এই মামলায় নিজাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে মাওলানা অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি সম্পুর্ণ নির্দোশ আমি ষড়যন্তের শিকার আমার প্রতি অবিচার হয়েছে।
রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, অভিভাবকদের হাতে আটক অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীও আদালতে বিচারকের কাছে জবাববন্দির জন্য নেয়া হয়েছে।



ফেসবুক পেইজ