April 19, 2024, 3:14 pm

পুলিশ সুপারের চেষ্টায় রাজমিস্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৭নং ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের একজন রাজমিস্ত্রী গত এক সপ্তাহ যাবত প্রচন্ড জ্বর ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন। তার পরিবার পরিজন ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জ্বরের রোগীকে কেউ বহন করতে রাজী হয়নি বিধায় হাসপাতালে আনা যায়নি। স্থানীয় একজন গ্রাম্য ডাক্তারের মাধ্যমে তার চিকিৎসা চলছিল।

কয়েকদিনেও জ্বর ও গলাব্যথার অবসান না হওয়ায় বাড়ির লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে ধারণা করেন সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে!
আতঙ্কগ্রস্ত বাড়ির লোকজন ও স্বজনরা মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে ওই রোগীকে হাসপাতালে এনে নমুনা দেবার কথা বলা হয়। কিন্তু হাসপাতালে আনার মত কোন পরিবহণের ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি।

পরে রোগীর স্বজনরা লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান পিপিএম এর সাথে যোগাযোগ করেন। পুলিশ সুপার একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করে রোগীকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে এনে নমুনা সংগ্রহ করার বিষয়ে সহায়তা করার জন্য লক্ষ্মীপুরস্থ এনএসআই উপ পরিচালক মানিক দে কে অনুরোধ করেন।

পরে এনএসআই উপ পরিচালক মনিক দে সাত্তার ট্রাস্ট’র সাথে যোগাযোগ করে একটি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করেন এবং আজ সকালে ওই রোগীকে তার বাড়ি থেকে সদর হাসপাতালে এনে তার নমুনা সংগ্রহ করে তাকে আবারো বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।

একজন অসুস্থ্য রোগীর প্রতি লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার, এনএসআই উপ পরিচালক ও সাত্তার ট্রাস্ট’র মানবিক সহযোগিতার বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। পুলিশ সুপার উদ্যোগ না নিলে ওই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার কোন সুযোগ ছিলনা বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান।

ওই রোগীর স্বজনরা লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার, এনএসআই উপ পরিচালক ও সাত্তার ট্রাস্ট’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।



ফেসবুক পেইজ