April 20, 2024, 12:56 am

উইঘুর মুসলিম নারীদের ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে গর্ভপাত করছে চীন সরকার

মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে চীন সরকারের বিরুদ্ধে। উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকদের জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কঠোর করা হচ্ছে। বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উইঘুরের মুসলিমদেরকে গর্ভপাত ও ভ্রুণ হত্যার মতো জঘন্য কাজে বাধ্য করা হচ্ছে।

কারাগারে আটক সাবেক ৩০ বন্দি, তাদের পরিবার, আটক কেন্দ্রের এক পরিদর্শকের সাক্ষাৎকার গ্রহণের ভিত্ততে বার্তা সংস্থা এপির অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

উইঘুর মুসলিমসহ সংখ্যালঘু জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাপকভাকে জোরদার করেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। সরকারি তথ্য, খবরে বলা হয়, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলেই দিতে হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ। করতে হয় কারাভোগ।

একজন বলেন, তৃতীয় সন্তানের জন্মনিববন্ধসহ সরকারি সব কাগজপত্র আছে। তারপরও বলা হলো দু’দিনের মধ্যে আড়াই হাজার ডলার দিতে হবে। কোনো অর্থ ছিল না। তারা কারো কথা শুনে না। কথা না শুনলে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে ভ্রুণ হত্যা করে। সন্তান জন্মাদানে সবাই এখন ভয় পায়।

অতিরক্তি সন্তান্তের খোঁজে প্রায় সব বাসাবাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ভয়ে শিশুদের লুকিয়ে রাখেন আতঙ্কিত বাবা-মায়েরা। এছাড়া জন্মহার কমাতে বাধ্য করা হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণে। জোরপূর্বক গর্ভপাত, অঙ্গ অকেজোসহ অনামনিবক নানা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে চীনের আগের বক্তব্য, তারা হানজাতির জনসংখ্যার সঙ্গে অন্যান্য সংখ্যালঘুগোষ্ঠীর জনসংখ্যা সমান করার জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে সবশেষে এপির প্রতিবেদকের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং।



ফেসবুক পেইজ