March 25, 2024, 10:54 am
ব্রেকিং :

মহামারী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের করনীয়?

বিশ্বব্যাপি চলমান করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের প্রদক্ষেপ গ্রহন করলেও দিন দিন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বে ৩০ লাখ লোক এই রোগে আক্রান্ত। মারা গেছে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার।

বাংলাদেশে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ হাজার আক্রান্তের সংখ্যা, মারা গেছে প্রায় ১৫২ জনের মতো। প্রতিদিন মারা যাওয়ার মিছিলে যোগ হচ্ছে মৃতের সংখ্যা।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংখ্যা এখন এই রোগ প্রতিরোধমূলক কোন চিকিৎসা কথা জানাতে পারেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীকেরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অনেকে আশার বাণী শুনাচ্ছে কিন্তু কবে এই রোগের ওষুধ আবিষ্কার হবে তার কোন নির্ধারিত তারিখ কিংবা মাস বলতে কেউ পারছেনা।

বর্তমানে বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত সংখ্যার মধ্যে চীন, ইতালি, আমেরিকা, বৃটেন, ষ্পেন, ফ্রান্স, কানাডা অন্যতম। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তবুও এসব দেশ সম্প্রতি লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে।

বাংলাদেশে এই রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রায় ১ মাসের ও বেশী দেশে লকডাউন চলছে। আক্রান্তের সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু দেশে প্রতিরোধমূলক যে সব ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে তা নিয়ে ও অনেকে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষ করে অনেক জেলায় এবং রাজধানীতে লকডাউন মানা হচ্ছেনা।
এ ছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল থাকায় রোগীদের সেবা প্রদানে হিসমিস খেতে হচ্ছে নমুনা পরীক্ষা সেন্টার গুলোতে।

যে সব স্থানে এই রোগের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে সেখানে মানুষের চাপে দিশেহারা চিকিৎকেরা। আবার চিকিৎসক ও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে বেশীর ভাগ চিকিৎসকেরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ইউরোপ দেশ গুলোতে অর্থনেতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা লকডাউন শিথিল করে কিছু ব্যবসায়িক কর্মকান্ড শুরু করেছে।

কিন্তু আমাদের দেশে এখন শুধু পোশাক শিল্প কারখানা চালু করা হয়েছে। বাকী প্রতিষ্ঠান গুলো এখন বন্ধ রয়েছে। আমি দেশের ক্ষুদ্র ব্যাক্তি হিসেবে সরকারের কাছে দাবী করতে পারি ।

স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক সুরক্ষা মেনে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান শর্তসাপেক্ষে চালু করে অর্থনেতিক কর্মকান্ড গতিশীল করা উচিত।

কারন উন্নয়নশীল দেশ গুলো অবস্থা পর্যালোচনা করে ব্যবসা কর্মকান্ড শুরু করেছে বাংলাদেশ তাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল না তাই দেশে ও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

পাশাপাশি আমরা মনে করি প্রতি জেলায় করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা সেন্টার চালু করে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নমুনা সংগ্রহ করা উচিত। না হলে সহজে দেশ থেকে এ রোগ সংক্রমন রোধ করা সম্ভব হবেনা।

পাশাপাশি সামাজিক দৃরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। শর্ত সাপেক্ষে ব্যাংক,বীমা, শেয়ার বাজার, আয়কর, ভ্যাট,বন্দর,স্থল বন্দর, নৌবন্দর নমুনা পরীক্ষা ব্যবস্থা করে চালু করা যেতে পারে।

পাশাপাশি কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চালু করতে পারলে দেশে অর্থনেতিক কর্মকান্ড কিছুটা গতিশীল রাখতে সহযোগীতা করবে। সরকার কে অর্থনেতিক কর্মকান্ড চালু ও রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে সবিনয় অনুরোধ জানাই পাশাপাশি জনসাধারণ কে সামাজিক কর্মকান্ড,স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং ঘরে থাকার জন্য উদাত্ত আহবান জানাই।

মো: রবিউল ইসলাম খান
গণমাধ্যম কর্মী, লক্ষ্মীপুর

ইমেইল:robiul.journalist@gmail.com



ফেসবুক পেইজ