April 19, 2024, 4:47 am

রায়পুরে মারাত্নক ঝুঁকি নিয়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানী পদার্থ ! আইনের তোয়াক্কা নেই কোথায়ও

নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আইনের তোয়াক্কা বা আইনগত কোন বিধি-নিষেধ না মেনেই যেন প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন তেল জাতীয় জ্বালানী পদার্থ সমূহ । এসব জ্বালানী পদার্থ গুলোর মধ্যে রয়েছে কেরোসিন,ডিজেল,পেট্রল,অকটেন,সিলিন্ডার গ্যাস এমনকি এসিড জাতীয় তরল পদার্থ গুলোও।

উপজেলার বিভিন্ন হাঁট-বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় হায়দরগঞ্জ বাজার,মিতালী বাজার,খাঁসের হাট বাজার,রায়পুর পৌর শহর,মোল্লার হাট বাজার,পীর ফয়েজউল্লাহ বাজার,নয়াহাট বাজারসহ প্রায় সর্বত্রই দেদারছে উন্মুক্ত পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে এসব তেল জাতীয় পদার্থ গুলো। আধা লিটার বোতল থেকে শুরু করে দুই লিটারের প্লাস্টিক বোতলে সরবরাহ করা হচ্ছে মারাত্নক ঝুঁকিপূর্ণ এসব জ্বালানী গুলো। মুদি দোকান,হার্ডওয়ার দোকান,চা’এর দোকান এমনকি কোথাও কোথাও টেইলার্সের মধ্যেও এইসব জ্বালানী গুলো বিক্রি করতে দেখাযায়।

অপরদিকে রায়পুর পৌর-শহরের বেশ কয়েকটি কতিথ পাইকারি দোকান নামক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানেও তেল-গ্যাস একইসাথে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ এইসব তেল,গ্যাস বা এসিড বিক্রির জন্য প্রয়োজন রয়েছে সরকারি লাইসেন্স বা বিস্পোরক জাতীয় দ্রব্য বিক্রির জন্য বৈধ কাগজ পত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে সংগ্রহ করার নিয়ম নীতি, কিন্ত তার কোন কিছুই তোয়াক্কা করছেনা একধরনের অসাধু ব্যাবসায়ীরা। রায়পুর উপজেলার সর্বত্র খোঁজ নিলে দেখা যাবে শতকরা নিরানব্বইটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানেরই পেট্রলিয়াম জাতীয় পদার্থ বা গ্যাস-এসিড বিক্রির কোন বৈধ কাগজ পত্র নেই, এমনকি এসব ব্যাবসায়ীরা এগুলো বিক্রির জন্য কোন সরকারি বিধিনিষেধ আছে বলেও মনে করেন না। রায়পুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ মেজেস্ট্রেট আখতার জাহান সাথী দৈনিক আমাদের লক্ষ্মীপুরকে জানান, এসব তেল-গ্যাস জাতীয় পদার্থ বিক্রির জন্য অবশ্যই বিস্পোরক লাইসেন্স সংরক্ষন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কে,অন্যথায় যারা অবৈধ ভাবে এগুলো বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। রায়পুর বাস স্ট্যান্ডের বেশ কয়েকটি পার্টসের দোকানে বিক্রি করতে দেখা যায় মারাত্নক ক্ষতিকারক এসিড পদার্থ অথচ নেই এসিড বিক্রির কোন বৈধতা,রায়পুর ফরিদগঞ্জ সড়কের চৌধুরী পোল নামক স্থানে জনৈক টায়ার ব্যাবসায়ী একইসাথে বিক্রি করছেন ভয়ঙ্কর এসিড পদার্থ,এসিড বিক্রির অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন এগুলোর কোন প্রয়োজন নাই,এইরকম কাগজপত্র আমরা নিজেরাই হাজার খানেক তৈরি করতে পারি।

রায়পুর মীরগঞ্জ সড়কের মাথায় (রায়পুর মেইনরোড সংলগ্ন) জাকির ট্রেডার্সে বিক্রি হচ্ছে একই সাথে গ্যাস সিলিন্ডার এবং তেল জাতীয় পদার্থ,অথচ নেই বিস্পোরক দ্রব্য সরবারহ বা বিক্রির কোন বৈধতা ! রায়পুর বাজারের প্রধান সড়কের বেশ কয়েকটি ইলেকট্রিক দোকানে বিক্রি হচ্ছে ব্যাটারিতে ব্যাবহৃত এসিড পদার্থ অথচ নেই এসিড বিক্রির বৈধতা। কোন প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষন বা সরবরাহ করা,তেল জাতীয় পদার্থ সংরক্ষন বা সরবরাহ করা,এসিড সংরক্ষন বা সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিস্পোরক লাইসেন্স সংগ্রহ পূর্বক বৈধতা নিশ্চিতকল্পে এসব পদার্থ গুলো বিক্রির বৈধ স্বীকৃতি নিশ্চিত করে,কিন্ত যারা এসব বাধ্যবাধকতার তোয়াক্কা করেনা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।



ফেসবুক পেইজ