March 26, 2024, 1:19 am
ব্রেকিং :

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দলে জায়গা পেতে মরিয়া রুবেল

এখনো দেশের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার তিনি। বলের নিয়ন্ত্রণ, কারুকাজও বেশ ভাল; কিন্তু তারপরও কেন যেন সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি রুবেল হোসেন। বরং দিনকে দিন টেস্ট, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি- তিন ফরম্যাটেই অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাটিতে শেষ সিরিজে ওয়ানডে আর টেস্ট কোনোটাই খেলা হয়নি রুবেলের। তিন ফরম্যাটে সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ২৫.৫ ওভার বল করে পেয়েছিলেন ১১৩ রানে ৩ উইকেট। আর সাদা বলে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ওয়ানডে এবং টি টোয়েন্টি খেলা তারও বেশ আগে যথাক্রমে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই (শেষ ওয়ানডে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) ও ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট (ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে)।

এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবার দলে ফিরতে তাই মুখিয়ে আছেন রুবেল হোসেন। বাঘেরহাট থাকা অবস্থায় নদীর পাড়ে বালুতে রানিং করেছন বেশ কিছুদিন। তাতে করে ফিটনেসটা ঠিক ছিল; কিন্তু শেরে বাংলায় নিজ ইচ্ছায় অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মাত্র দু’দিন।
গতকাল শনিবারই প্রথম প্র্যাকটিস করেছেন। আজ দ্বিতীয় দিন অনুশীলনের পর রুবেল হোসেনের অনুভব, বাগেরহাটে নিজের ইচ্ছে ও উদ্যোগে রানিংয়ের পাশাপাশি জিমওয়ার্ক করা গেলেও বোলিংটা ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ ছিল না। তাই শেরে বাংলার অনুশীলনটা তার সত্যিকার প্র্যাকটিস বলেই মনে হচ্ছে।

রুবেলের উপলব্ধি, নদীর তীরে বালুতে দৌড়াদৌড়ি আর ফিজিক্যাল ফিটনেস ট্রেনিং, রানিং যতই হোক না কেন, আসল কথা হলো স্কিল ট্রেনিং। যেটা শেরে বাংলায় এসে করা যাচ্ছে। তাই গত দুই দিনের প্র্যাকটিসটা তার কাছে অন্যরকম বলেই মনে হচ্ছে।

এ কারণেই মুখে এমন কথা, ‘দু’তিনদিন আগে আমি ঢাকা এসেছি। গত পরশু থেকে মিরপুরে, যেটা আমাদের সবার প্রিয় গ্রাউন্ড সেটায় অনুশীলন শুরু করেছি। মূলতঃ ফিটনেসের সাথে বোলিং, যেহেতু আমি বাগেরহাটে বোলিং নিয়ে কাজ করতে পারিনি। এখানে বোলিং নিয়ে কাজ করছি। ক্রিকেট বোর্ড থেকে যে সব নির্দেশনা দিয়েছে যে, কখন বোলিং, ফিটনেস, জিম নিয়ে কাজ থাকবে সবকিছুই আমরা নিয়ম অনুসারে অনুসরণ করছি। আমি বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই, তারা খুব সুন্দরভাবে আমাদের একটা পরিকল্পনা তৈরি করে দিয়েছে। সে পরিকল্পনা মতেই আমরা সবাই সুন্দরভাবে ফিটনেস, বোলিং, ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছি।’

রুবেল স্বীকার করেন, করোনা শুরুর পর অনেকের সাথে তিনিও বাগেরহাটে আপনজনের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন। এখন বিসিবির উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় রানিং, জিম করার পাশাপাশি স্কিল ট্রেনিংয়ের সুযোগ দেয়ায় বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে ভুল হয়নি তার।

‘আসলে যখন করোনা আমাদের দেশে খারাপভাবে হানা দিচ্ছিল তখন ক্রিকেটারদের করার কিছুই ছিল না। আমরা যার যার জেলায় চলে গিয়েছি এবং নিজেদের মত ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। বাগেরহাটে আমি ফিটনেস নিয়েই কাজ করেছি, রানিং করেছি। যেহেতু আমার বাসা নদীর পাড়ে, সেহেতু বালুতেই বেশি রানিং করেছি। বোলিং, ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাইনি। আর প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছিল।’

করোনায় সচেতন থাকার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে রুবেল বলেন, ‘করোনা ইস্যুটা আসলে আমাদের হাতে নাই, সারা দেশব্যাপী একটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমাদের কিছু করার নাই, তারপরও যতটুক থাকা যায়, সচেতন থাকার চেষ্টা করেছি। বিসিবি থেকে যে সব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেভাবেই ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। বিসিবিকে ধন্যবাদ আমাদের এভাবে প্র্যাকটিসের সুযোগ করে দেয়ার জন্য।’

এ মুহুর্তে রুবেলের নজর শ্রীলঙ্কা সফরের দিকে। তার একটাই লক্ষ্য দলে জায়গা করে নেয়া ও টেস্ট খেলা।

তাই মুখে একথা, মূলতঃ আমার নজর শ্রীলঙ্কা সিরিজ। ওই সিরিজে আমার লক্ষ্য থাকবে দলে সুযোগ পাওয়া। আর সুযোগ পেলে ভালো খেলার চেষ্টা করা। আপ্রাণ চেষ্টা করবো, দলে থাকার। আমি সে অনুযায়ী অনুশীলন করছি। ফিটনেস বলেন, বোলিং বলেন আরও কিভাবে স্কিল বাড়ানো যায়, এটা নিয়ে কাজ করছি। মূল নজর শ্রীলঙ্কা সিরিজে।’



ফেসবুক পেইজ