‘মুজিববর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে নানা আয়োজনে লক্ষ্মীপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ৩১ অক্টোবর শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুরে জেলা পুলিশ ও কমিউিনিটি পুলিশিং সেল এর যৌথ আয়োজনে বেলুন উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে এর উদ্বোধন করা হয়। পরে বর্ণাঢ্য র্যালি শেষে স্থানীয় টাউন হল মিলনায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো: রিয়াজুল কবির এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম ফারুক পিংকু, পৌর মেয়র আলহাজ্ব আবু তাহের, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা: আশফাকুর রহমান মামুন।
কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২০ এর বেলুন উড়িয়ে উদ্ভোধন করেন অথিতিরা
জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আজিজুর রহমান মিয়া, ইন্সপেক্টর তদন্ত মোসলেহ উদ্দিন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর সভাপতি সৈয়দ জিয়াউল হুদা আপলু, সদর থানা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর সভাপতি শংকর মজুমদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সদর থানা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এহতেশাম হায়দার বাপ্পি, সমাজ সেবক ও চিকিৎসক তাফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, ডা: রত্নদ্বীপ পাল, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশান, আওয়ামী লীগ নেতা মোক্তার হোসেন বিপ্লব প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে কমিউনিটি পুলিশিং ও আইন-শৃঙ্খলায় বিশেষ অবদান রাখায় অতিথিদের হাত থেকে আইজিপি সম্মাননা গ্রহণ করেন রামগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মহসীন চৌধুরী ও সদর থানা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ এহতেশাম হায়দার বাপ্পি।
এছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং এ অবদান রাখায় শুভেচ্ছা স্মারক গ্রহণ করেন, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সেল এর সভাপতি সৈয়দ জিয়াউল হুদা আপলু ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ভূঁইয়া আজাদ। এসময় সাংবাদিক, শিক্ষক, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ‘পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ’ এ নীতিতে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং। ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২০’ উদযাপনের মাধ্যমে জনগণ ও পুলিশের মাঝে আন্তরিকতা, সহযোগিতা, স্বতঃস্ফূর্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা আগামী দিনগুলোতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।