April 19, 2024, 3:36 pm

সুস্থ থাকুক সবাই,মহামারি আচ্ছন্ন নববর্ষে এটাই আমাদের কামনা

 

আজ ১লা বৈশাখ। যাত্রা শুরু ১৪২৭ বঙ্গাব্দে। তারপরও এবার বলতে পারছি না শুভ নববর্ষ..! এই যাত্রাটা নাগরদোলায় দোল খাওয়ার মধ্যে হচ্ছে না! গ্রামের সেই মেলায় যাওয়া হচ্ছে না। গ্রাম্যমেলার সেই অচিন বৃক্ষটার বোবামনও হয়তো খুঁজবে প্রতিবছরের আগুন্তুকদের।

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস আমাদের যেনো মানব বোমা বানিয়ে দিয়েছে! আমরাই যেনো আজ আমাদের প্রজাতির জন্য হুমকি, পরষ্পরের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে ঐশ্বরিক এক অমানবিক দেয়াল। পরম করুণাময়ের কাছে আকুল প্রার্থনা: “ফিরিয়ে দিন আমাদের সেই সব বর্ণালি দিনগুলো। যেখানে স্বজন-বান্ধব মিলে হারাতে পারবো মানবতার মিলন মোহনায়।” আজ আমাদের থাকতে হচ্ছে হোম কোয়ারেন্টিনে।

আমি বেঁচে থাকি নাকি দুনিয়া থেকে চলে যেতে হয় করোনার এই করাল থাবায় জানি না। তবে এই টুকু বিশ^াস করি করোনা একদিন পরাজিত হবেই হবে মানুষের কাছে। তখন যারা বেঁচে থাকবেন তাদের কাছে মুক্তির দিনগুলো হবে ঈদ আর নববর্ষের আনন্দের মতো! সেই অনাগত দিন নিয়ে বলতে চাই- আনন্দযজ্ঞের সরোবরে আজকের কোয়ারেন্টাইনের কষ্টকর দিনগুলোকে মনে রেখো বন্ধু-স্বজন।

মনে রেখো- যে সব ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, সেনাসদস্য, সাংবাদিক, ওষুধ-মুদি-কাঁচা বাজারের দোকানি, পণ্যবাহী ট্রাকচালক-হেলপার, এম্বুল্যান্স চালক-এমআর, বিদ্যুৎ-গ্যাস-ইন্টারনেট সেবাদানকারীকর্মী ও বর্জ্যব্যবস্থাপনা কর্মীদের সাহসী আত্মত্যাগের কথাগুলো। মনে রেখো সেসব জনপ্রতিনিধিদের, রাজনৈতিক নেতাদের যারা তাদের কথা না ভেবে দেশের কথা ভাবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে ছুটে চলে।

এমন পরিস্থিতিতে আমি আপনি বাঁচবো কি মরবো এমন এক ভয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এমন সময় মানুষের মন কোমল ও পবিত্র থাকে। তাই আমার মনে হয় এখনই আমাদের শপথটা হোক করোনার পরে বেঁচে থাকলে- “আমরা হবো মানবিক মূল্যবোধ রক্ষাকারী ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আগ্রণী সেনা।

তার আগে ঘরে থাকি, সুস্থ থাকি, সুস্থ রাখি আমার দেশ ও আমাদের বিশ্ব। পহেলা বৈশাখ-১৪২৭ এ হোক আমাদের এই দৃপ্ত শপথ।”

           —————-দৈনিক আমাদের লক্ষ্মীপুরের পক্ষ সবাইকে: পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা—————–



ফেসবুক পেইজ