May 13, 2024, 11:53 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

রায়পুরে যত্রতত্র সুপারি ভেজানোর ফলে পরিবেশ প্রকৃতি মারাত্নক হুমকির মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খালে বিলে,ডোবা-নালা এমনকি বসত বাড়ির পুকুরেও কাঁচা সুপারি ভেজানোর কারণে প্রতিনিয়ত পরিবেশ প্রকৃতি এমনকি সাধারণ জনজীবনেও দুর্বিষহ যন্ত্রনা নেমে আসতে শুরু করেছে।

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সর্বত্রই এখন এদৃশ্য প্রকট আকার ধারণ করতে চলছে। ভেজানো সুপারিতে বিক্রেতারা অধিক লাভবান হওয়ার কারণে এখন এই পক্রিয়াতে বেশি ঝুঁকতে শুরু করেছে এখানকার সুপারি পাইকাররা। নারিকেল সুপারি ক্ষ্যাত বৃহত্তর নোয়াখালীর মধ্যে সুপারি চাষের জন্য অন্যতম আরেকটি উপযোগী স্থান হচ্ছে এ উপজেলা।

এখান থেকে প্রতিবছর বেশ কয়েক’শ কোটি টাকার সুপারি রপ্তানি হয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কাঁচা সুপারি বা শুকনো সুপারির চাইতে ভেজানো সুপারির চাহিদা বেশি থাকা এবং কোনরকম বাড়তি ঝামেলা না থাকায় এই পক্রিয়া এখন কমবেশী সবাই গ্রহন করছে। সুপারি ভেজানোর জন্য সরকারি বা বে-সরকারি ভাবে নির্দিষ্ট কোন জায়গা বা টেকনিক্যাল কোন ব্যাবস্থা না থাকায় বিভিন্ন রাস্তার পাশের উন্মুক্ত খাল,ডোবা-নালা এমনকি বসতবাড়ির পুকুরেও সুপারি ভেজানো হচ্ছে।

সুপারি ভেজানোর ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায়ই ভেজা সুপারি থেকে বের হতে থাকে ভটকা পঁচা দুর্ঘন্ধ। এই দুর্ঘন্ধ বাতাসে মিশে গিয়ে আশেপাশের এলাকা,বসতবাড়িসহ জনবহুল জায়গা গুলোতে প্রচন্ড বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে থাকে।

অপরদিকে খাল বা ডোবা-নালা গুলোতে সুপারি পঁচন শুরু হলে সেখানকার পানি গুলো কালো হয়ে বিশাক্ত রুপ ধারণ করে,এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছ গুলো যেমন শৈল,টাকি,কৈ,খলশে,টেংরা,শিং,মাগুর ইত্যাদি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর মাছ গুলোও এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কোনপ্রকার পরিবেশের ছাড় পত্র নেওয়া বা দেওয়ারও কোন প্রয়োজন মনে করছেন না প্রশাসন বা সুপারি পাইকাররা। ভেজানো সুপারির পঁচা দুর্ঘন্ধে মারাত্নক পরিবেশ বিপর্যয় ও ঘটতে শুরু করেছে।

যে স্থানে অধিক হারে সুপারি ভেজানো হচ্ছে সেখান থেকে মারাত্নক দুর্ঘন্ধ বের হতে থাকায় পরিবেশ বান্ধব পশু পাখিগুলো ও দূর দূরান্তে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। ফলে মারাত্নক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা করছেন এখানকার লোকজন।

উপজেলার বেশ কয়েকজন সুপারি পাইকারদের সাথে এসম্পর্কিত আলাপ করলে তারা বলেন ভেজানো সুপারি অত্যন্ত লাভজনক ব্যাবসা কিন্ত সুপারি ভেজানোর জন্য নির্দিষ্ট কোন পক্রিয়াজাতকরণ ব্যাবস্থা না থাকায় আমরা বরাবরই উন্মুক্ত স্থানে সুপারি ভেজাতে হচ্ছে।

যদি এরজন্য সরকার দেশের অর্থনৈতিক লাভের কথা বিবেচনা করে এতদ্ব অঞ্চলে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেন তাহলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা আর থাকবেনা। উপজেলার ৩নং চরমোহনা,৪নং সোনাপুর,৫নং চরপাতা,৬নং কেরোয়া এবং ৭নং বামনী নামক স্থান গুলোতে সবচাইতে বেশি সুপারি ভেজাতে দেখা যাচ্ছে।

রায়পুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাঃসম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ বলেন ভেজানো সুপারির বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি,কিন্ত এবিষয়ে কেউই তেমন কোন কর্নপাত করছেন না।



ফেসবুক পেইজ