May 18, 2024, 1:00 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ধানের বাম্পার ফলন’র সম্ভাবনা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : মাঠের পর মাঠ জুড়ে যেন সবুজ চাদরে আচ্ছাদিত। চৈত্রের তপ্ত রোদ আর দক্ষিনের হাওয়ায় যেন কিশোরীর এলোকেশে ঝড় মাতিয়ে তুলছে রায়পুরের অবারিত সবুজের ধান ফসলের মাঠ। ধান গাছের মাথায় সদ্য নবজাত ধানের গোছা গুলো যেন রপালী আলোর ঝলকানীতে পাষানের মন টুকুও কেড়ে নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। ধানক্ষেতে কৃষকের প্রাণচ ল হাঁসি জানিয়ে দেয় এবার শুধু ধান নয় রুপালী ফসল ঘরে তুলবে লক্ষ্মীপুর জেলাধীন রায়পুরের প্রত্যন্ত কৃষক পরিবার।
পুরো উপজেলা জুড়ে এবার বাম্পার ফলনের প্রতিক্ষায় প্রহর গুনছে এখানকার কৃষক কিষাণী পরিবার গুলো,কোন রকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে এবার তাদের স্বপ্ন হবে সত্যি এমনটাই মনে করছেন এখানকার প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, এ উপজেলায় এবার এগারো হাজার প ান্ন (১১,০৫৫) হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে, গত বছর যা ছিল মাত্র আট হাজার তিন’শ চল্লিশ (৮,৩৪০) হেক্টর। এবার ধানের জাত হিসেবেও কৃষক বেছে নিয়েছে ব্রি – ২৮,২৯,৫৮,৭৯,৮২,৮৩,৮৪ এবং ৯২। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান,২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট সাড়ে সাত হাজার প্রনোদনা তারা সম্পন্ন করেছেন,এবং বর্তমানে ১৮শ আউশের প্রনোদনা কাজ এগিয়ে চলছে।
রায়পুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী,দক্ষিন চরবংশী,খাঁসের হাট,হায়দর গঞ্জ,মিতালী বাজার,কেরায়া,বামনীসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখাযায় ধান গাছের মাথা গুলো গোছায় গোছায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলন ও ভালো এবং বাম্পার ফলনে আশাবাদী আমরা। গতবছর এই সময়টাতে ঝড়ো হাওয়া এবং ভারি বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল,তবে এবার যদি সময়মত ফসল ঘরে তোলা যায় তাহলে গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠা যাবে বলে তারা মনে করছেন। অপরদিকে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে প্রতিবারের মত এবারও শঙ্কিত রয়েছেন কৃষকরা। সরকারি ভাবে ধানের মণ এক হাজার চল্লিশ টাকা নির্ধারণ করা হলেও অসাধু সিন্ডিকেট বাহিনীর কবলে পড়ে হতভাগ্য কৃষক পান মাত্র ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। পুরো উপজেলা জুড়েই এধরনের অভিযোগ প্রতিবছরই পাওয়া যায়। তবে গতবছর ৯শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা মণ দরে কিছু ধান বিক্রি করতে পেরেছিলেন বলে জানান কয়েকজন কৃষক। অসাধু সিন্ডিকেট বাহিনীর কবল থেকে ধানের মূল্য রক্ষা করে কৃষকের ন্যায্য পাওনা কৃষককে বুজিয়ে দেওয়া হবে এমনটাই দাবি এখানকার প্রান্তিক কৃষক পরিবারের।



ফেসবুক পেইজ