May 13, 2024, 12:47 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সোনাইমুড়ীতে জ্বর-শ্বাসকষ্টে প্রবাসীর মৃত্যু

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে এক ইতালি প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় করোনা সন্দেহে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পালের নির্দেশে ওই বাড়িটি লকডাউন করে বাড়ির সামনে লাল পতাকা স্থাপন করা হয়েছে।
নিহত মোরশেদ আলম (৪৪) উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন মোরশেদ আলম। কিছু দিন আগে তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তিনি স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরমার্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করেন। কিন্তু গত ১০-১২ দিন আগে তার শরীরের জ্বরের তীব্রতা বেড়ে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা পাঠান। কিন্তু তিনি ঢাকা গিয়ে কোন প্রকার চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
নিহতের স্বজন আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোরশেদ আলম গত কয়েক দিন ধরে সর্দি, উচ্চ মাত্রায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার আরও অবনতি হলে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা নেওয়ার পথে মোরশেদ মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) রফিকুল ইসলাম বলেন, মোরশেদ আলম দীর্ঘ দিন যাবৎ অসুস্থ থাকলেও তিনি ভালো কোন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতে ছিলেন। আশংকাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসন থেকে নিহতের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বাড়ির চারটি পরিবারের ২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ওই প্রবাসীর প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট ছিল। তার ফুসফুস সঠিক ভাবে কাজ করছিল না। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকায় স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন ভোরে তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
মৃত প্রবাসীর বাড়ি লকডাউনের বিষয়টি জানিয়েছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পাল।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, গত নভেম্বর মাসে ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম বাড়িতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কয়েক দিন ধরে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার মৃতদেহ বর্তমানে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা প্রজেটিভ এলে নিহতের লাশ ঢাকায় দাফন করা হবে। আর নেগেটিভ এলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।



ফেসবুক পেইজ