করোনাভাইরাসের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ থেকে রাতের আঁধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে পালানোর সময় শতাধিক গার্মেন্টস কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের বহন করা পাঁচটি ট্রাকও আটক করা হয়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে ফতুল্লার পোস্ট অফিস মোড়, মুসলিমনগর, এতিমখানা মোড় ও পঞ্চবটী এলাকা থেকে তাদের আটক করে যার যার বাসায় ফেরত পাঠানো হয়।
আটক গার্মেন্টস কর্মীরা জানান, কর্মহীন হয়ে পড়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। তার ওপর বাড়ি ভাড়ার চাপ। গত এক সপ্তাহ কোনোমতো মাটি কামড়ে পরে থাকলেও আর পারছেন না তারা। এ কারণেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এ অনিশ্চিত যাত্রা।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওইসব গার্মেন্টস কর্মীকে তাদের শিশু সন্তানসহ আটক করে নিজ নিজ বাসায় ফেরত পাঠোনো হয়েছে। তারা কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট যাওয়ার জন্য পাঁচটি ট্রাক ভাড়া করে রাতের আঁধারে আসবাবপত্র নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন। ট্রাকের চালক ও হেলপারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ওসি আরও বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ব্যক্তিকে আটক করে তাদের বুঝিয়ে আবার বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়া বিপজ্জনক জেনেও লোকজন রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা নৌপথেও টহল জোরদার করেছি। প্রত্যেক এলাকার লোকজনদের সচেতন হতে হবে এবং সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।