May 12, 2024, 2:28 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সরকারী সহায়তা চেয়েও পাইনি তবুও হাঁস পালনে সফল লক্ষ্মীপুরের জাহাঙ্গীর

প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দি গ্রামের শহিদ উল্যার ভূঁইয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া গত ৩ বছর ধরে বাড়ির পাশে পুকুরে হাঁস পালনে করে স্বাবলম্বী করে হয়েছেন। তিনি এখন হাঁসের পাশাপাশি মাছ চাষ করে আসছেন। জেলা/উপজেলা মৎস্য ও প্রাণী সম্পদক অফিসে গিয়ে প্রশিক্ষণ কিংবা পরামর্শ চেয়েও পাইনি জাহাঙ্গীর এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
(১৮ সেপ্টেম্বর) সোমবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা ভূঁইয়া এগ্রোফিশারী নামে এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৫ শতাধিক জেলডিন, বেইজিং,ব্লাক হোল, রানার,চীনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস পুকুরে চষে বেড়াচ্ছে। কখনো কখনো নিজেদের ঘরে গিয়ে খাবার খেয়ে আবার পুকুরে গিয়ে এই দিক ওই দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিকেল হলে সূর্যের আলো যখন নিভিয়ে যায় তার আগে হাঁস গুলো এসে নিজেদের থাকার ঘরে ফিরে আসে।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া জানান, তিনি ঢাকায় প্রভিটা ফিড নামক কোম্পানীতে কয়েক বছর চাকরি করে। পরে বিগত ৩ বছর পূর্বে চাকরি ছেড়ে দিয়ে দেশে এসে হাঁস পালন করা শুরু করে। ৩ বছর ধরে হাঁস পালন করে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করে। ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় ধীরে ধীরে হাঁসের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। তার পাশে ছোট ভাই আল আমিন ভূঁইয়া সহযোগীতা করে যাচ্ছে। পাশাপাশি সামছুল আলম নামে এক শ্রমিক দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে।
নিজের সম্পত্তির পাশাপাশি বাড়ির পাশে কিছু পরিত্যাক্ত জমি লিজ দিয়ে ব্যবসার পুুঁজি বাড়িয়ে হাঁসের পাশাপাশি মৎস্য চাষ শুরু করেছে তিনি। আগামীতে মাছের রেনু পোনা পাশাপাশি, মুরগী খামার ও হাঁসের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন মৎস্য চাষের জন্য প্রশিক্ষণ আগ্রহ প্রকাশ করলেও তাকে এখনো সেই সুযোগ দেওয়া হয়নি।
অপর দিকে ৩ বছর ধরে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বি হলেও জেলা/উপজেলা প্রাণী সম্পদের কেউ তার খামারে খবর ও নেয়নি দেখতোও যায়নি। তবুও তিনি আগ্রহ হারাননি। আগামী বছরে উৎপাদন আরও বাড়ানো বাড়াবেন। তিনি বলেন আমি আশা করি জেলা/ উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও প্রাণী সম্পদ বিভাগ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আমাকে সহযোগীতা করলে আরও বেশী সফল হবো। জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই আল আমিন ভূঁইয়া বলেন, আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর পড়াশুনা শেষ করি ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি।
আমার ভাইকে সময় এবং ছুটি পেলে বাড়িতে এসে সহযোগীতা করি। সরকারী কোন সহযোগীতা কিংবা পরামর্শ আমরা পাইনি। সরকারী ভাবে আমাদের যদি আর্থিক কিংবা পরামর্শ দিয়েও সহযোগীতা করে তা হলে ভূঁইয়া এগ্রোফিশারী কার্যক্রম আরও বড় আকারে করা সম্ভব হবে।
অভিযোগের বিষয়ে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সারোয়ার জামান বলেন, ভূঁইয়া এগ্রোফিশারী কেউ আমার অফিসে এসেছে কিনা জানা নেই। তবে মৎস্য চাষ করলে তাকে অবশ্যই প্রশিক্ষণ প্রদানসহ পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হবে। সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহমুদা সুলতানা জানান, বিষয়টি জানা ছিলনা। সম্প্রতি আমি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা যোগদান করেছি। আমি নিজেই ভূঁইয়া এগ্রোফিশারী যাবে এবং কি ধরনের সহযোগীতা করতে পারি সেই ব্যবস্থা নিবো।



ফেসবুক পেইজ