May 12, 2024, 2:28 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

দুই বছরেও শেষ হয়নি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ডাকঘর ভবণের নির্মাণ কাজ

প্রতিনিধি : ডিজিটাল আধুনিক ভবনে চিঠি আদান- প্রদানসহ বিভিন্ন সেবা দিতে নতুনভাবে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে পোষ্ট অফিস ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মেয়াদে ৮৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে একতলা বিশিষ্ট ভবনটি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছরেও শেষ হয়নি ভবনের কাজ।সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, ঠিকাদার ও ডাকবিভাগের প্রকৌশলের অবহেলার কারণে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে কম্পিউটার, প্রিন্টারসহ ডাক বিভাগের আসবাবপত্র নষ্ট হতে চলেছে। এতে ডাক বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ। দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছে কর্মকর্তা,কর্মচারীরও
রায়পুরে শহরের মাছবাজার সংলগ্ন উপজেলা ডাকঘরসহ তার দুটি শাখা অফিস শাখা রয়েছে রাখালিয়া ও হায়দরগঞ্জ বাজারে। তার উপশাখা রয়েছে আরও ১৫ টি। প্রায় ২০ বছর থেকেই ডাক কার্যালয়ে পোষ্ট মাষ্টার, কর্মচারি ও রানারদের মাঝে আনন্দ নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান,আধুনিকভাবে ডিজিটাল সেন্টার তৈরিতে ২০২১ সালে নতুন ভবন তৈরির উদ্যোগ নেয় সরকার সেই লক্ষ্যে রায়পুর উপজেলায় শুরু হয় ডাকঘর ভবন নির্মাণ কাজ। কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফনেক্স ইন্টারন্যাশনাল। ভবন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। দুই বছর পার হতে চললেও অদ্যাবধি শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ। কাজেরও অগ্রগতি ও নেই।
পরে ডাকবিভাগ থেকে সৈকত নামের ফেনী এক ঠিকাদারকে দিয়ে ফের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু চার মাস আগে এই ঠিকাদার নিন্মমানের কংকর (ইট, সিমেন্ট ও রড) দিয়ে ছাদ ঢালাই দিয়ে কাজ বন্ধ রেখে চলে যান। কাজের ধীরগতিতে হতাশ ডাকবিভাগ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সেবাগ্রহিতারা। শহরের মধ্যবাজারে পুবালী ব্যাংকের পাশে একটি ভাড়া করে কার্যক্রম বিঘ্ন ঘটছে তেমনি মালামালগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ডাক বিভাগের রানার মাহফুজ হোসেন বলেন, কাজের এমন ধীরগতি অন্য কোন কাজে দেখিনি। যে কাজ এক বছরে শেষ হওয়ার কথা, তা দুই বছরেও শেষ না হওয়াটা দুঃখজনক। দ্রুত কাজ শেষ করে কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।
ডাকবিভাগের লক্ষ্মীপুর পরিদর্শক আবদুর রহমান ও রায়পুর পোষ্ট মাষ্টার অমর কৃষঞ দাশ ক্ষুদ্ব প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ২০২১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর এক নেক প্রকল্প থেকে ৮৬ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ঢাকার ফনেক্স ইন্টারন্যাশনাল ই-টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পান। তার দুই মাস পর ঝুঁকিপুর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ৮ মাস ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ওই ঠিকাদার। পরে ডাকবিভাগ ফেনির সৈকত নামের এক ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ শুরু করলেও অর্ধেক কাজ করে তিনিও গত চারমাস বন্ধ রেখেছেন।
ডাকবিভাগের ঢাকার প্রকৌশলী চাঁন মিয়া বলেন, আগে কাজ কিছুটা ধীরগতি ছিল। তবে বর্তমানে কাজের অগ্রগতি ভাল। বাকী কাজ এ বছরই শেষ হবে। আবারও পরিদর্শন করে ঠিকাদারের অনিয়মের বিষয়ে সতর্ক করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মো: সৈকত বলেন, আমি কাজটি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে ৮৬ লাখ টাকায় সাব কন্ট্রাক নিয়েছি। নিন্মমানের কংকর না দেয়ার জন্যে লক্ষ্মীপুরের ব্রীকফিল্ডের মালিককে নিষেধ করেছি। সহসাই নেত্রকোনা থেকে শ্রমিকএনে কাজ শুরু করবো।

 



ফেসবুক পেইজ