রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) সাবেক এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার রূপকারি ইউনিয়নে নিজ বাসায় একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই সময় তার স্ত্রীও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহত ব্যক্তির নাম ভূষণ চাকমা দুদোরবু (৪০)। কয়েকদিন আগে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির বাঘাইছড়ি উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক যোশী চাকমা। তবে সে সংগঠনটির সমর্থক বলেও নিশ্চিত করেছেন এ নেতা।
যোশী চাকমা বলেন, ‘ভূষণ চাকমা রাতে স্ত্রীসহ এক প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে ফেরার পর, রূপকারি বিজয়ঘাট এলাকায় নিজ বাড়িতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তার স্ত্রীর শরীরেও গুলি লেগেছে বলে জেনেছি।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও বাঘাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা বলেন, ‘নিহত ভূষণ আমাদের সমর্থক। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে সন্তু লারমা নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কাউকে পাওয়া যায়নি।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ মনজুর হক বলেছেন, ফোনে বিষয়টি জেনেছি। নির্মল চাকমা ছেলের ভূষণ চাকমা দুদোরবুকে গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। তার মূল বাড়ি বঙ্গলতলী হলেও সে পরিবার নিয়ে রূপকারিতে থাকতো। তার স্ত্রীও গুলিতে আহত হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে।’