নিজস্ব প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে শুরু হয়েছে দালালের উৎপাত। অভিনব পন্থায় হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে পাশ্ববর্তী প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে কখনও কখনও ভর্তি আবার কখনও অহেতুক প্যাথলজিকেল টেস্ট করিয়ে সর্বশান্ত করে দিচ্ছে উপজেলার বহু দূর দূরান্ত থেকে আগত অসহায় গরিব রোগীদেরকে।
হাসপাতালের ভিতরেই টিকেট কাউন্টারের আশাপাশে এসব দালাল চক্র ঘুরে বেড়ায় বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী’রা। দূর থেকে আগত রোগীদেরকে আগেভাগে টিকেট নিয়ে দেওয়ার নাম করে ৫টাকার স্থলে আদায় করে নেয় ১০টাকা আবার ডাক্তারের সাথে দ্রুত পরামর্শ বা ভালো চিকিৎসা সেবা পাইয়ে দিবে বলে অতিরিক্ত আরও দু’একশ টাকা করে আদায় করে নেয় এসব প্রতারক দালাল চক্র। এছাড়া ভুক্তভোগী অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, অনেকসময় এইসব প্রতারক ডাক্তারের রুমের সামনে ওৎপেতে থাকে কখন রুম থেকে রোগী বের হবে এই অপেক্ষায়, আর তখনই সুযোগ বুঝে এইসব রোগীদের হাত থেকে ডাক্তারের পরামর্শ স্লিপ টেনে নিয়ে রোগীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে।
সক্রিয় দালাল চক্র স্থানীয় প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে মোটা অংকের একটা কমিশন ও পেয়ে থাকে বলে জানাযায়। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাকির হোসেনের সাথে দালালের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন,আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছি,কিন্ত সমস্যা হচ্ছে হাসপাতালে কোন সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রন না থাকায় এদেরকে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনেস্টিক এসোসিয়েশনের লক্ষ্মীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান তুহিন চৌধুরীও দালালের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয় কাজ। তিনি আরও বলেন এরা স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের লোক এদেরকে নিয়ন্ত্রন করা কঠিন। শুধুমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উদ্যোগ নিলে একদিনেই হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মূল করা সম্ভব।
অপরিদিকে রায়পুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি এখানকার গরীব অসহায়দের একমাত্র ভরসাস্থল হলেও দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অসহায় গরীব রোগী গুলো। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হবে দালাল মুক্ত,সঠিক চিকিৎসা লাভে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে অসহায়দের একমাত্র ভরসাস্থল এই হাসপাতালটি এমনটাই মনে করছেন এখানকার সূধী সমাজ।