নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনভর টুংটাং, আর ভারি হ্যামার দিয়ে লোহা পিটানোর শব্দ প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তেই । সময় অসময় নেই, কি রাত কি দিন একটু সময়ের জন্যও যেন তাদের স্বস্তি নেই এভাবেই অতিরিক্ত মাত্রার শব্দ দূষণের অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সরকারি মার্চ্চেন্টস্ একাডেমী’র প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান। রায়পুর পৌরশহরের মীরগঞ্জ সড়কস্থ সিএনজি স্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে গড়ে উঠা তার বসত বাড়ির আশেপাশেই এরইমধ্যে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫/৭ টি ম্যাটাল ওয়ার্কশপ । আবাসিক এলাকায় এইধরণের ওয়ার্কশপের হাতুড়ি পেটানোর শব্দ প্রতি নিয়তই আশেপাশের জনবসতি কে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে বলে তিনি এই প্রতিবেদকে অবহিত করলে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। এব্যাপারে তিনি প্রতিকার চেয়ে গত ২৯ অক্টোবর ২০২০ খ্রিঃ রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী অভিযুক্তদেরকে ডেকে স্বত্তর ঐ স্থান থেকে ওয়ার্কশপ গুলো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে এই প্রতিবেদক-কে জানান জিল্লুর রহমান। কিন্ত অভিযুক্তরা গায়ের জোর আর নিজেদের দাপট খাটিয়ে এবিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চুপ রয়েছেন। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষন আইনের অধীনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রন বিধিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় রাত নয়টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা ৪৫ ডেসিবল এবং দিনের অন্যসময়ে ৫৫ ডেসিবল অতিক্রম করা যাবেনা মর্মে উল্লেখ থাকলেও কার্য্যত এসব আইনকানুনের কোন তোয়াক্কাই করছেনা কেউ। এছাড়াও আবাসিক এলাকার শেষ সীমানা থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে উচ্চমাত্রার কোন শব্দযন্ত্র ব্যবহারও পরিহার করার কথা উল্লেখ রয়েছে। শব্দ দূষণের এই বিষয় সম্পর্কে রায়পুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট আকতার জাহান সাথীকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন,অভিযোগকারীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরদিকে আবাসিক এলাকায় প্রতিনিয়ত অতিরিক্ত মাত্রার এসব শব্দ দূষণের ফলে শিক্ষার্থীদের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। অপরদিকে শিশু,বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর এধরণের অতিরিক্ত মাত্রার শব্দ দূষণ ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করেন সূধী জনরা। বিরক্তিকর এসব শব্দ দূষণকারী প্রতিষ্ঠান গুলো আবাসিক এলাকা থেকে অন্যত্র স্থানাম্তরের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন স্থানীয়রা।