May 4, 2024, 2:41 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী

রায়পুরে বানিজ্যিক ভাবে গাঁদাফুল চাষ করে সাবলম্বী হতে চায় আনোয়ার

মোঃআজম, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিও ক্ষুদার লাগি,দু’টি যদি জোটে অর্ধেকে তার ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী ।
ফুল ভালোবাসা আর পবিত্রতার প্রতীক,ফুল নিয়ে হাজারো গীতিকাব্য,কবিতা,ছন্দ-ছড়া শুধু অমাদের বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ^ময় সমাদৃত রয়েছে। বলার কি অপেক্ষা রাখে প্রেমিক যুগলের ভালোবাসা বাসির প্রথম টোপই হচ্ছে এই ফুল !
রায়পুরে এবার এমনই একজন ব্যতিক্রমী সদ্য ফুল প্রেমীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। নাম তার আনোয়ার,রায়পুর পৌর ৭নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি। প্রথমে শখেরবসে বাড়িতে টবে ফুলগাছ লাগিয়ে ছিলেন,কিন্তু সেই শখ থেকেই কিভাবে আয়ের উৎস বের করাযায় মাথায় আঁটলেন সেই পরিকল্পনা । চট্রগ্রাম থেকে গাঁদাফুলের বীজ সংগ্রহ করে বাড়ির সামনেই খুলে বসলেন ছোটখাট একটি নার্সারী । নিরিবিলি পরিবেশে নিরিবিলি জায়গায় নার্সারীটি হওয়ায় এই ফুল প্রেমী নার্সারীর নাম দিলেন নিরালা নার্সারী। মাত্র চার শতাংশ জায়গায় একমি গাঁদার বীজতলা বানিয়ে,চারা উৎপাদনের পর মাত্র প্রথম তিন মাসেই তিন হাজার চারা বিক্রি করে লাভ গুজে নিলেন ৬০ হাজার টাকা ! একটি চারার মূল্য ৩০ টাকা হারে বিক্রি করলেন তিন হাজার চারা । যাবতীয় খরছ বাদ দিয়ে লাভের অংকে অনোয়ারের চোখে এখন নতুন স্বপ্ন বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। নিজস্ব তেমন কোন জায়গা নেই,নেই আর্থিক স¦চলতাও কিন্তু চোখ জুড়ে অগাধ স্বপ্ন পুরো রায়পুর উপজেলায় ফুল চাষ করে ফুলের রাজ্য বানাতে চান তিনি। পাশাপাশি বেকার যুব সমাজকে আতœ কর্মসংস্থানের অন্য একটি উপায় হিসেবে এই পথটিকে বেচে দিতেও চান আনোয়ার।
প্রতিদিন আনোয়ারের নার্সরীতে ফুলের সাথে ছবি তোলার জন্য আশেপাশের লোকজনের ভিড় জমে যায় বলে জানালেন আনোয়ার। আনোয়ার জানান, সরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্য সহযোগীতা আর সঠিক পৃষ্ঠপোশকতা পেলে যেমনি ভাবে তিনি নিজে সাবলম্বী হতে পারবেন তেমনি ভাবে বেকার যুব সমাজকে ফুল চাষে অগ্রহী করে তোলা হলে তাদেরও আতœ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য রায়পুর উপজেলার কোথাও এর আগে কেউ বানিজ্যিক ভাবে ফুল চাষে আগ্রহ দেখান নি,কিন্তু উপজেলা জুড়ে কয়েক হাজার একর অনাবাদি জমি রয়েছে,যেগুলোকে এই ফুল চাষের আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন আনোয়ার।



ফেসবুক পেইজ