April 29, 2024, 6:01 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। জেলার অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এখানে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। স্থানীয়রা স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬। সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট মৃত্যু ও আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায়ই অর্ধেকের বেশি। সদরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৯৪৯। আর অন্য চারটি উপজেলায় মিলে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫৭। করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও সদর উপজেলায় অনেক বেশি—৩৩ জন। এরপরে রামগঞ্জ উপজেলার অবস্থান। এখানে করোনায় ১৪ জন মারা গেছেন। আর অন্য তিন উপজেলায় ৭ জন।

করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) লক্ষ্মীপুর শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন। তিনি জানান, জেলা সদরে মানুষের বসবাস বেশি। তা ছাড়া বড় বড় বাজার, অফিস-আদালত সবই জেলা শহরে অবস্থিত। সব মিলিয়ে মানুষের সমাগম বেশি। বিশেষজ্ঞদের দেওয়া নির্দেশনা ঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছে না। প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে না। এতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় মৃত্যু ও সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগে প্রশাসনকে তৎপর হতে হবে।

বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুর ঘুরে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রশাসন, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীদের তৎপরতা ও নজরদারি কম। লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে তেমন তৎপরতা নেই। বাজার ও অন্যান্য স্থানে সামাজিত দূরত্ব না মেনে দেদার চলাফেরা করছেন লোকজন। অনেকে পরছেন না মাস্ক। মাস্ক ছাড়াই রাস্তাঘাটে বের হচ্ছেন লোকজন। এ কারণে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলায় আত্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬। আক্রান্তদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদরে ১ হাজার ৯৪৯ জন, কমলনগরে ২৫১, রায়পুরে ২২৯ জন, রামগঞ্জে ৩৯৮ জন ও রামগতিতে ১৭৯ জন।

এদিকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদরে ৩৩ জন, রামগঞ্জে ১৪, রায়পুরে ৩ জন এবং রামগতি ৩ ও কমলনগরে ১ জন।

লক্ষ্মীপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মো. আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘জেলার মধ্যে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। নানা কারণে আমরা এখনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি। দিন যত যাচ্ছে মৃত্যু ও আক্রান্ত—দুইটিই সদরে বাড়ছে।’

কঠোর নজরদারি ও কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে না পারার অভিযোগ অস্বীকার করে সিভিল সার্জন আব্দুল গাফ্ফার বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হচ্ছে। মূলত লোকজনের সচেতনতার অভাবেই সংক্রমণের হার বাড়ছে।



ফেসবুক পেইজ