—১০ হাজার অসহায় কে খাদ্য সামগ্রী প্রদান–

প্রতিনিধি,দৈনিক আমাদের লক্ষ্মীপুর :করোনাভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে ঘরে আছেন লক্ষ্মীপুর জেলার কর্মহীন মানুষেরা। ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহয়তা অব্যাহত রেখেছেন লক্ষ্মীপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল।

জেলার সকল জন-প্রতিনিধি ও বৃত্তবানদের দরিদ্র জনগোষ্ঠির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহবান জানান তিনি। শাহজাহান কামালের ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন তার এপিএস ও সাবেক জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়া। মোট ১০ হাজার অসহায়, দ্স্থু, গরীব ও দিন মজুরদের মাঝে এই খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে আট হাজার লোকদের এই সব সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। হটলাইনে ফোন পেলে বাড়ি বাড়ি পোঁছে যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রী।

ঘরে থাকা অসহায় এ সব মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিতে রাত-দিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বায়েজীদ ভূঁইয়া ।

অন্যান্য দিনের পাশাপাশি শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ত্রান সহায়তা প্রদানের কিছু খন্ডচিত্র

সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল এমপির ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজ ১২এপ্রিল রবিবার ১৫তম দিনে কর্মহীন মানুষদের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাবার বিতরণ করেন বায়েজীদ ভূঁইয়া।ইতিমধ্যে প্রায় ১০,০০০ গরিব দুস্থদের পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

সাবেক বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল জানান, করোনাভাইরাস সারাবিশ্বসহ বাংলাদেশের উপর যে আঘাত এনেছে তার থেকে মুক্তি পেতে হলে সরকারের নির্দেশনা মেনে ঘরে থাকতে হবে। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। সারাদেশের তুলনায় লক্ষ্মীপুর এখনো ভালো আছে। সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যে বিতরন শুরু হয়েছে বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা ও সরকারে জনগণের পাশে আছি এবং থাকবো

আজ ১৫তম দিনেও আমার ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জন-প্রতিনিনিধিদের মানুষজনকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে না এনে, ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে বলেছি। ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। দরিদ্র মানুষের সহায়তা করার জন্য এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

এ ছাড়া টানা ১২ দিন লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনের প্রায় তিন হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রীর সাথে দেওয়া হয়েছে  ৭ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস, ১০ হাজার মাস্ক, ৫ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও ৪ হাজার সাবান।অপরদিকে ডাক্তার,পুলিশ,সাংবাদিক ও অন্যান্য সেবা কর্মীদের দেওয়া হয়েছে ২৫০ টি  পিপিই, মাস্ক,হ্যান্ড-গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ।

বায়েজীদ ভূঁইয়া জানান, ঘরে থাকা মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে গঠিত হটলাইন নাম্বারে কল আসার পর ইতোমধ্যে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে।অসহায় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছিয়ে দেওয়ার এ কার্যক্রম আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।