May 2, 2024, 3:30 am
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী

লক্ষ্মীপুরে শিশু হত্যার দায়ে সৎ মায়ের ১০ বছরের সাজা

প্রতিনিধি :লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে তিন বছরের শিশু আহমেদকে হত্যার দায়ে তার মা কহিনুর বেগমকে (২৬) দশ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
(২৫ সেপ্টেম্বর)সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। অভিযুক্ত কহিনুর রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেন কুট্টির মেয়ে এবং মামলার বাদী নিহতের বাবা মিরন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার হাবিব মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্র জানায়, মিরন ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে চাকরি করেন। প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আহমেদ তার প্রথম সংসারের ছেলে। কিছুদিন পর মিরন রামগঞ্জের কহিনুরকে বিয়ে করে। শিশু আহমেদসহ দ্বিতীয় স্ত্রীকে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় রাখতেন। ঘটনার দিন তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে ছিলেন। এসময় শিশু আহমেদকে নিয়ে কহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তার বাবার বাড়িতে যায়।

পরে কহিনুর তার স্বামীর ভাড়া বাসায় আসেন। এরপর স্বামী মিরনকে তিনি জানান আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। একইদিন ঢাকা থেকে এসে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তিনি ছেলেকে পাননি। পরে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে বাসায় গিয়ে কহিনুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন। কহিনুর পুলিশকে জানান, ২৬ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে পেটে লাথি দিলে আহমেদ মারা যায়।

পরে দা দিয়ে খাটের নিচে গর্ত করে তার মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে, বিকেলে দরবেশপুর এসে কহিনুরের বাবার বাড়ির শয়নকক্ষের খাটের নিচে পুঁতে রাখা আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইদিন মিরন বাদী হয়ে কহিনুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

জেলা জজ আদালতের পিপি জসিম উদ্দিন বলেন, কহিনুর বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তার তিন বছরের শিশু আহমেদকে লাথি মেরে হত্যার পর শয়নকক্ষের খাটের নিচে মরদেহ পুঁতে রাখে। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ওই নারীকে দশ বছরের কারাদন্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা করেন।



ফেসবুক পেইজ