সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তারা। পরে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন হাসপাতালের কর্মকর্তারা।
সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের।
সুস্থ হওয়া বাকিরা হলেন চর ফলকন গ্রামের মো. ইব্রাহিম ও চর লরেন্স এলাকার শিশু রিহান।
গত ১৬ এপ্রিল কমলনগরের এই তিন বাসিন্দার করোনা শনাক্ত হয়। শুরুতে সপ্তাহখানেক তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ২৩ এপ্রিল তাদের হাজিরহাট উপকূল কলেজের আইসোলেশন কেন্দ্রে নেয়া হয়।
যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ অন্যান্য সুবিধা না থাকায় ওই রাতেই তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তারা।
হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবার বাইরে ওষুধ, ইফতারি, খাবার, শিশুখাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এ সময় তাদের পাশে ছিলেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল করিব রাজিব।
এ রোগীদের সুস্থ হওয়া প্রসঙ্গে চিকিৎসক রেজাউল করিব রাজিব বলেন, কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুরে আসা নয়ন আক্তারের নমুনা সংগ্রহ করতে তিন তিনবার তার বাড়িতে যেতে হয়েছে। বারবার তিনি পালিয়ে যান। পরে খোঁজ-খবর করে একপর্যায়ে আত্মগোপন থেকে তাকে বের করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হওয়ার পর চিকৎসা নিয়ে এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওই নারীসহ, এক পুরুষ ও এক শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের বলেন, এ উপজেলায় করোনা শনাক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে দুইবার করে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ আসে। তারা এখন এ ভাইরাস মুক্ত ও শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতাল থেকে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
কমলনগরে করোনা শনাক্ত পাঁচজনের মধ্যে একজন চিকিৎসকও রয়েছেন। আরেকজন ১০ মাস বয়সী এক শিশু। তাদেরও চিকিৎসা চলছে।