লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:অন্যের বাড়ীতে গৃহকর্মী মেয়েদের উপর্জিত টাকা না পেয়ে রহিমা খাতুন (৪২) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী ও দেবর বাড়ী ছেড়ে পলাতক রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর চরবংশী ইউপির কুচিয়ামারা গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশের জমাদার বাড়ীতে।
হাজিমারা ফাঁড়ি থানা পুলিশ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
এঘটনায় সহকারি পুলিশ সুপার স্পিনা রানী ও ওসি তোতা মিয়া ঘটস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে মামলার প্রস্ততি চলছে।
নিহত গৃহবধু রহিমা খাতুন একই এলাকার হোচন দালালের মেয়ে এবং ঘাতক কবির হোসেন ও তার ছোট ভাই আলমগীর জমাদার কৃষক দলু মজুমদারের ছেলে।
নিহতের মেয়ে রুমা আক্তার ও এলাকাবাসি জানান, কবিরের এক স্ত্রীসহ ৬ মেয়ে ও ২ ছেলে রয়েছে। দুই মেয়ে বিবাহিত, ৪ মেয়ে অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে। কবির জমাদার কোন কাজ করে না শুধু ভবঘুরে মানুষ।
গৃহকর্মী মেয়েরা তাদের উপার্জিত টাকা তাদের মা রহিমা খাতুনের কাছে জমা রাখতেন।
তা সহ্য করতে পারতো না কবির। তাকে ওই টাকা না দিলে রহিমাকে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করতো। বুধবার রাতে টাকা না দেয়ায় রহিমাকে লোহার সিকল ও রড দিয়ে বেদম মারধর করে কবির ও তার ছোট ভাই আলমগীর।
এতে রহিমা মারাতœক জখম হয়ে ঘরের ভিতরেই মারা যায়। একপর্যায়ে আতœহত্যা করে বলে নিহত রহিমার লাশ বসতঘরের আড়ার সাথে গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখে কবির ও আলমগীর পালিয়ে যায়।
এঘটনায় ঘাতক কবির ও আলমগীরকে আটক করে বিচার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও অর্ধশতাধিক এলাকাবাসি।
এঘটনায় ঘাতক কবির ও তার ভাই পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া যায়নি।
এঘটনায় রায়পুর হাজিমারা ফাঁড়ি থানা পুলিশ পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধুর ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে। নিহতের স্বামী ও দেবরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মো: রবিউল ইসলাম খান
লক্ষ্মীপুর