পাবনার চাটমোহরে শংকর দাস (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর গ্রামের বড়াল নদীর পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শংকর দাস উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের অমৃতকুন্ডা গ্রামের মৃত দুলাল দাসের ছেলে।
পুলিশ মরদেহের পাশে ও নিহতের প্যান্টের পকেট থেকে নগদ টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি মদের বোতল উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের কথিত প্রেমিকা অমৃতকুন্ডা গ্রামের মনি দাসের মেয়ে রত্না দাসকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। মরদেহটি রত্না দাসের মামা বোঁথর গ্রামের শম্ভু দাসের বাড়ির দক্ষিণ পাশে পড়ে ছিল। রত্না দাস মামার বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
এলাকাবাসী জানায়, শংকর দাস বৃহস্পতিবার বোঁথর গ্রামে আসেন। তিনি রত্না দাসের সঙ্গে বোঁথর চড়ক বাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করেন। শুক্রবার সকালে শংকরের মরদেহ রত্নার মামা শম্ভুনাথ দাসের বাড়ির দক্ষিণ পাশে বড়াল নদীর উত্তরের পাড়ে বাঁশ ঝাড়ের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রত্না দাসকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
রত্না দাস জানান, শংকরের বাড়ি ও তাদের বাড়ি একই সঙ্গে। ছোটবেলা থেকেই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব। বিয়ের পরও মাঝে মধ্যে মোবাইল ফোনে দুজনের কথা হতো। বৃহস্পতিবারও মোবাইল ফোনে কথা হয় এবং বোঁথর চড়ক বাড়িতে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো প্রেম ছিল না। মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
পাবনার সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন জানান, শুক্রবার ভোরে এলাকাবাসী বড়াল নদের পাড়ের একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের স্বজনরা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, মরদেহের পাশে পড়ে থাকা বোতলে বাংলা মদ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মদ পানে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মো. নাসীর উদ্দিন জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রত্না দাসকে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।