লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ শনিবার দিবাগতরাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ গত কয়েকদিন ধরে শ্বাস কষ্ট ও সর্দি জ্বরে ভুগছিলেন। তার অবস্থার অবনতিতে শনিবার ২০ জুন তাকে ঢাকার আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ২১ জুন শনিবার রাত আড়াইটায় তার মৃত্যু হয়।
করোনা পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ তার ইউনিয়নের মানুষের পাশে ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সরকারের দেয়া সহায়তা ও তার ব্যাক্তিগত উদ্যোগে ঘরবন্দী অসহায় মানুষদের সহায়তা দিয়েছিলেন তিনি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই মৃত্যু কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তার ইউনিয়ন নিয়ে আমাদের কতো পরিকল্পনা ছিলো, প্রতিনিয়তই আমার সাথে যোগাযোগ করতেন, করোনা নিয়ে এলাকায় প্রচুর কাজ করেছে সে। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন।
মরহুম শহিদ উল্লাহ চেয়ারম্যানের জানাযা নামাজ আজ ২১ জুন রবিবার বিকেল ৩ ঘটিকায় ইছাপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
সদরে করোনায় মৃত ১:
লক্ষ্মীপুরে আনোয়ার হোসেন (৫২) নামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ২০ জুন শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত ওই রোগী শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাড়ি লকডাউন করা হবে।
জানা গেছে, আনোয়ার হোসেনের বাড়ি জেলার সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। তিনি একটি ব্যাংকের রায়পুর শাখায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কয়েকদিন আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
এর আগে তিনি বাড়িতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সকালে গুরুতর অসুস্থ হলে দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনেরা।
লক্ষ্মীপুরে একই দিনে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোস্তফা মিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
এছাড়াও লক্ষ্মীপুরে আক্রান্ত দিনদিন বেড়েেই চলছে।