নিজস্ব প্রতিনিধি : যৌতুকলোভী পাষন্ড স্বামীর বর্বর নিযার্তনের শিকার হয়ে শেফালী আক্তার ওরফে লুৎফা (৩০) নামক এক গৃহবধু রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে আভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
প্রাপ্ত আভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,উপজেলার ৬নং কেরোয়া ইউনিয়নস্থ উত্তর কেরোয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ (৫৮) প্রায় ৪বছর পূর্বে তার মেয়ে শেফালী বেগমকে বিয়ে দেন একই উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের কাজির চর নামক গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মৃত আব্দুল আলীর ছেলে জহির (৩৭) এর সাথে,কিন্তু বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই জহির তার স্ত্রী শেফালীকে বিভিন্ন অজুহাতে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে,একপযার্য়ে টাকা এনে দিতে অস্বিকার করলে শেফালীকে মারধরসহ বিভিন্ন শারিরিক ও মানষিক নিযার্তন চালাতে শুরু করে জহির,কিন্তু তাদের সংসারে ছোট একটি শিশু কন্যা থাকায় নিরবে সব সহ্য করে যায় শেফালী।
ওদিকে মেয়ের সুখ শান্তির কথা বিবেচনা করে শেফালীর দরিদ্র বাবা একে একে কয়েকধাপে জামাতাকে সর্বমোট ২লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা প্রদান করলেও অর্থলোভী জহির তাতে ক্ষান্ত হননি।
উপরন্ত এখন টাকা চাইতেই টাকা মেলায় সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে মৌখিক ভাবে জানায় নিযার্তিত শেফালী ও তার বাবা আব্দুল লতিফ। জহির পেশায় একজন গরুর বেপারী ও গরুর দালাল।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পূণরায় টাকা চাওয়ার ঘটনার পূণরাবৃত্তি ঘটলে শেফালী পূর্বেরন্যয় আবারও অস্বিকার করলে তাকে বেদম মারধর করে জহির। একপর্যায়ে মারের চোটে শেফালীর অবস্থা বেগতিক দেখে পাষন্ড স্বামী জহির নিজেই শেফালীকে রাতের বেলাতেই রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়। বর্তমানে সে রায়পুর সরকারি হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে জহিরের কাছে জানতে চাইলে সে এসব ব্যপারে অস্বিকার করে। মেয়ের উপর অমানষিক নিযার্তনের বিচার দাবি করে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে রায়পুর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ভ’ক্তভোগী শেফালীর পরিবার।