May 3, 2024, 9:25 am
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী

লক্ষ্মীপুরে শ্রমিক রাসেল হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদৌহিতা এলাকায় নির্মান শ্রমিক আবদুর রব ওরফে রাসেল হত্যা মামলায় ১ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। ২৭ জুন ( সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো,রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হচ্ছে, সদর উপজেলার বড়বল্লভপুর এলাকার মো. জয়নাল আবেদিনের ছেলে বাহার উদ্দিন। রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বাহার উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের আদেশও দেন আদালত।

রাষ্টপক্ষের আইনজীবী এ্যাড: জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারী রাত আবদুর রব ওরফে রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। এর ১০দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাসেল। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে আট বছর পর এ মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে খুশি নিহতের স্বজন ও রাষ্ট্রপক্ষ।

আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, সদর উপজেলার বড়বল্লভপুর এলাকায় ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারী রাত আটটার দিকে আবদুর রব ওরফে রাসেল দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বিদেশে যাওয়ার জন্য বের হয়। এই দেড় লাখ টাকা খালা শ^াশুড়ীকে বুজিয়ে দিয়ে সে বিদেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। পরে ওই টাকা নিয়ে বসুদৌহিতা এলাকায় পৌঁছলে বাহার উদ্দিনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত নামা আটজন যুবক তার পথ গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাসেলকে মৃত ভেবে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরেরদিন ভোরে রাসেলকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী পরে ঢাকা একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০দিন পর মারা যায় রাসেল। এ ঘটনায় ৩০ জানুয়ারী বাহার উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত নামা আরো ৮জন অভিযুক্ত করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা আমেনা বেগম। ২০১৬ সালের ২২ আগষ্ট বাহার উদ্দিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসীট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানী শেষে প্রায় সাড়ে ৮ বছর পর এই মামলার রায় দেন আদালত।

জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌশলী অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারী রাত আবদুর রব ওরফে রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা।

এর ১০দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় রাসেল। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে আট বছর পর এ মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে খুশি নিহতের স্বজন ও রাষ্ট্রপক্ষ।

 



ফেসবুক পেইজ