লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
গ্রামবাসী সুবিধার জন্যই নদীর উপর ব্রীজ বা সাঁকো নির্মাণ করা হয়। আর সেটিই যদি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাহলে কেন এই ব্রীজ এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী জানান গত এক বছরে লক্ষ্মীপুরের জেলার রায়পুর উপজেলার চরমোহনা ইউপির সীমান্তবর্তী ডাকাতিয়া নদীর উপরে নির্মানাধীন ব্রীজটির পাশের কাঠের সাঁকোটি পারাপার হতে গিয়ে পড়ে নারীসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে বিকল্প কাঠের সাঁকো পারাপার হতে মোটরসাইকেলসহ ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া নদীতে পড়ে গুরুত্বর জখম হয়েছে।
আহত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তার পেটের রড ঢুকে গেছে এবং অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
তাৎক্ষনিক গ্রামবাসি স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য হোসেন আহাম্মদের নেতৃত্বে কাঠের সাঁকোটি শক্তভাবে নির্মাণের দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন।
এ ব্যাপারে এলজিইডির রায়পুর কার্যালয়ের উপ-সহকারি প্রকৌশলী তাজল ইসলাম জানান, প্রায় এক বছর আগে ডাকাতিয়া নদীর উপর প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যায়ে -ব্রীজটির করার জন্য কাজ পান লক্ষ্মীপুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রিয়াসাত এন্ড ব্রাদার্স।
তাদের কাছ থেকে কাজটি কিনে নেন রায়পুরের ঠিকাদার কৌশিক আহাম্মেদ সোহেল। এক মাস আগে ব্রীজের পাশে গ্রামবাসির চলাচলের জন্য কাঠের পুল ও রিটার্নিং ওয়াল নির্মান করা হয়েছে। গ্রামবাসীকে সতর্ক হয়ে চলতে বলা হয়েছে। তারা না চললে কি করার আছে। আহত ব্যক্তিকে সু-চিকিৎসা দিতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার কৌশিক সোহেল জানান, কাজের মানে অনিয়ম নেই। আহত ব্যবসায়ীর খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। গ্রামবাসিদের সতর্ক করে চলাচলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ব্রিজের কাজ শেষ হলে গ্রামবাসীর দূর্ভোগ দূর হবে বলে জানান তিনি।