নিজস্ব প্রতিনিধি: পর্যটন শিল্পের উজ্জল সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে রায়পুর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল। উপক’লীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলার মধ্যে অন্যতম এবং বিশেষ আকর্ষনীয় বা দর্শনীয় স্থান হিসেবে রায়পুর উপজেলার পশ্চিমা ল বিশেষ ভ’মিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন এখানকার বিজ্ঞ জনেরা। তারা মনে করেন প্রমত্তা মেঘনা নদীর উপক’ল ঘেঁসে গড়ে ওঠা দক্ষিন চর আবাবিল ও উত্তর চরবংশী এলাকার বেড়ি বাঁধের পশ্চিম সাইটটাকে এই পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলে এ শিল্পের ব্যপক প্রসার তথা বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক ভাবেও বেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
উত্তরে চাঁদপুর বা কুমিল্লা এবং দক্ষিনে বরিশাল,ভোলাসহ অন্যান্য জেলার সাথেও নৌ-পথে যোগাযোগ সাধনে এখানে রয়েছে বিশেষ সুযোগ সুবিধা। একইভাবে সড়ক পথেও এখানে আসার জন্য বা বের হওয়ার জন্য কোন জঞ্জাল পোহাতে হবে না। লক্ষ্মীপুর সদর থেকে দালালবাজার খোয়াসাগর দীঘির সামনের বেড়ি রাস্তা দিয়ে এই এলাকায় প্রবেশ দ্বার নির্মান এবং এখানে তৈরি হতে পারে বিশেষ তোরণ বা মোরাল,যা কিনা পর্যটন স্পটকে করবে ব্যপক আকর্ষনীয়। পর্যটন এরিয়াকে ঘিরে এখানে গড়ে উঠতে পারে বড় বড় হোটেল রেস্তোরা। এখানে উপভোগ করার জন্য রয়েছে ধুঁধুঁ বালুচর,সবুজ বৃক্ষাদি,প্রমত্তা মেঘনার উত্তাল জলরাশী,মাঠ কে মাঠ সয়াবিনসহ নানান রকম রবিশষ্য,এছাড়া পাওয়া যাবে তরতাজা রুপালী ইলিশের টাটকা স্বাধ ও মন মাতানো গন্ধ। এছাড়া অত্যন্ত সহজলভ্য রয়েছে গরু-মহিষের খাটি দুধ,দই,ছানা বা গরম গরম টাটকা মিষ্টি। বলার অপেক্ষা রাখেনা বর্তমানে দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের অর্ন্তগত আলতাফ মাস্টারের মাছঘাট ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিশেষ সুখ্যাতি লাভ করতে চলছে।
প্রতিনিয়ত এখানে লোক সমাগমের উপস্থিতিই বলে দেয় দেশের মানুষ কতটা ভ্রমন পিয়াসু। উল্লেখিত পুরো এলাকা জুড়ে এখানে পর্যটন নগরী গড়ে উঠলে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই এখানকার বাসিন্দাদের,বরংচ এখানকার কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত বেকার যুব সমাজসহ অন্যান্যদের জন্য কর্মসংস্থানেরও বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর তাছাড়া দেশীয় অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের আয়ের উপর তৈরি হবে নতুন মাত্রা উন্মোচন হবে আরেকটি নতুন সম্ভাবনা।