May 19, 2024, 7:45 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

লক্ষ্মীপুরে নজর কাড়ছে বড় বড় গরু

লক্ষ্মীপুরে এবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বড় গরুর সংখ্যা বেশি। জেলার খামারিদের কাছে প্রায় ১২ থেকে ২৫ মণ ওজনের ৮০০ গরু রয়েছে। ক্রেতারাও বিভিন্ন খামারে ছুটে যাচ্ছেন বড় গরুর চাহিদা নিয়ে। এবার প্রায় ২ হাজার কেজি ওজনের গরুরও দেখা মিলেছে লক্ষ্মীপুরে।বৃহস্পতিবার (২২ জুন) থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর গরু বাজার, সদরের কালিবাজার, কমলনগরের তোরাবগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর হাট বসেছে বলে জানা গেছে।জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, কোরবানির জন্য এবার লক্ষ্মীপুরের খামারিদের কাছে ৫০০ থেকে ১ হাজার কেজি ওজনের ৮০০ গরু রয়েছে। এছাড়া ১ হাজার থেকে ২২০০ কেজি ওজনের গরুও রয়েছে কয়েকটি খামারে। এটি জেলার জন্য সুফল বয়ে এনেছে। একদিকে মাংস উৎপাদনে খামারিরা সফলতা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে জেলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাড়ছে। বাণিজ্যিকভাবে খামার স্থাপন ও কৃত্রিম প্রজনন বৃদ্ধির কারণেই গবাদি পশু উৎপাদনের ব্যতিক্রম খবর পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি খামারি ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের।

সাইফুল ইসলাম নামে এক খামারির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কমলনগর উপজেরার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। কয়েকবছর আগে তিনি দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে একটি গাভি কেনেন। কিছুদিন পরই গাভিটি একটি বাছুর জন্ম দেয়। ওই বাছুরটি তিনি পরম যত্নে লালন-পালন করেন। তার নাম রাখেন বাহাদুর। তার বয়স এখন ৪৫ মাস। বাহাদুরের ওজন এখন ১১০০ কেজি বা সাড়ে ২৭ মণ। এরইমধ্যে তিনি পশুহাটে ১৫ লাখ টাকা বাহাদুরের দাম হাঁকিয়েছেন। তবে তিনি কখনো কল্পনা করেননি তার গরুটি এতো বড় হবে।

এছাড়া রায়পুরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে ৫৭ মণ ওজনের গরু ‘কিং’। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের স্টিলব্রিজ সংলগ্ন বিসমিল্লাহ ডেইরি খামারে মালিক মোহাম্মদ উল্লাহ গরুটি ঢাকার গাবতলির হাটে ওঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি কিংয়ের দাম হাঁকিয়েছে ৪০ লাখ টাকা। এতো দামে ওই গরুর ক্রেতা লক্ষ্মীপুরে নেই বলে দাবি তার।

মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, খামারে তিনি মাত্র ৬টি গরু পালন করেছেন। এরমধ্যে কিংয়ের ওজন প্রায় ২ হাজার ২০০ কেজি।

উত্তর চরবংশীর মাহবুবুর রহমান তার ৩০ মণ ওজনের ‘রুস্তম’র দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা। তিনি স্থানীয় হাটেই রুস্তমকে বিক্রির জন্য নিয়ে গেছেন। রামগঞ্জ পৌর শহরের মাহবুব রাব্বানীর ‘চৌধুরী ডেইরি’তে ৭ মণ ওজনের ৩টি গরু রয়েছে। প্রতিটি গরু ১১ থেকে ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর পৌর গরু বাজারে ক্রেতা জামাল হোসেন বলেন, এবার হাটে গরুগুলো অনেক বড়। গরুগুলোর দামও বেশি। এভাবে বড় বড় গরু হাটে উঠলে আগামীতে কোরবানির বাজেট বাড়াতে হবে। যা অধিকাংশ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বড় গরুর চাহিদা থাকলেও অর্থনৈতিক সংকটে অনেকেই কিনতে পারেন না।একই বাজারের ক্রেতা আবদুস সালাম জানান, গরুগুলো অনেক বড়। কোরবানির হাটে বিক্রি না হলেও মাংসের বাজারে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে। বাজারে মাংসের সংকটও কমবে।সদর উপজেলার বাংগাখাঁ গ্রামের খামারি বেলাল হোসেন জানান, ৪ বছর ধরে জেলার খামারিরা মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে গরু লালন-পালনে জোর দিয়েছেন। বেশিরভাগ খামারিই এখন তাদের খামারের গরুগুলো বড় করছেন। আগামীতে বড় গরু আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে এ জেলায় বড় গরু কেনার ক্রেতা কম।স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, জেলা সদর, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগরে এবার ৬৬টি পশুর হাট বসছে। এরমধ্যে ১১টি স্থায়ী ও ৫৫টি অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. একেএসএম মুশাররফ হোসেন বলেন, এবার প্রায় ৪২ হাজার পশু কোরবানির জন্য খামারিদের নিকট প্রস্তত রয়েছে। এরমধ্যে গরু প্রায় ৪০ হাজার গরু ও দেড় হাজার মহিষ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে খামারিরা কৃত্রিম প্রজনন ও বিদেশি উন্নত জাতের গরু পালনে উৎসাহী হয়েছেন। সেজন্যই এবার কোরবানির পশুর হাটে বড় বড় গরু উঠেছে। আগামীতে হাটে আরও বড় গরু দেখা যা



ফেসবুক পেইজ