May 18, 2024, 8:28 am
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে দোকান বিক্রির লোভ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ লক্ষ্মীপুরে খোঁড়া গর্তে পড়ে প্রাণ গেল ভাই-বোনের লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের ছাতা, স্যালাইন ও পানি বিতরণ ভোটের দিন কর্মীদের রোযা রাখার আহবান চেয়ারম্যান প্রার্থীর লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

রামগঞ্জে শোকের মাসে মেলা নিয়ে বিতর্ক: বন্ধ করলো প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শোকের মাসে মেলার আয়োজন নিয়ে তোলপাড় চলছে। আগষ্ট মাস শেষ হওয়ার সাথে সাথে মেলার আয়োজন বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।উপজেলার ৯নং ভোলাকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলুর সার্বিক তত্বাবধানে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের যোগসাজসে নিয়ে গত ১৬ আগষ্ট থেকে পানিয়ালা বাজার সংলগ্ন আকারতমা নামক স্থানে মেলা শুরু হওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শোকের মাসে মেলার আয়োজন নিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা জাতীয়, স্থানীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন।
৩১ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই চেয়ারম্যান মেলার কার্যক্রম তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দেন। এছাড়া আগষ্ট মাসে মেলার আয়োজন করায় চেয়ারম্যানসহ মেলার আয়োজনকারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে সারাদেশে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মেলার আয়োজন বন্ধে নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে।কিন্তু নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করেই উপজেলার ৯নম্বর ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন দিলু গোপনে গত ১৬ আগষ্ট জমকালো আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তার অনুমতি না নিয়ে চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রতিদিন মাসোহারা দিয়ে অসাধু নামধারী কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের মাধ্যমে মেলার সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। মেলার উদ্যোক্তা ছিলেন মোঃ হাসান (বকুল), কবির হোসেন সোহেল, ফয়েজ বাবু, এস এম রাশেদ, আনোয়ার হোসেন মিঠু, রাতুল, ফাহাদ, ইউছুফ, মিলন, সুপ্ত, বাঁধন পাটওয়ারী, শামীম পাঠান, আশিক হোসাইন।
এ ব্যাপারে ভাটরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মিঠু জানান, আমি মেলায় গিয়েছি সত্য। শোকের মাসে এরকম জমকালো মেলার আয়োজন বিষয়ে আমি আগে কিছু জানতাম না। আমি নিষেধও করেছিলাম।
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাকিবুল হাসান মাসুদ জানান, আমি মনে করি এই মেলার আয়োজন আওয়ামীলীগকে বিতর্ক করার জন্য করা হয়েছে। এমন কর্মকান্ডের জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দাবি জানাচ্ছি।
ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরচেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না।
রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ক.ম রুহুল আমিন জানান, কাউকে না জানিয়ে কিভাবে কার অনুমতি নিয়ে মেলাটি চললো তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে মেলাটি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। শোকের মাসে এধরনের আনন্দ উদ্যাপন দুঃখজনক।



ফেসবুক পেইজ