ঈদের আগে বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের শেয়ারবাজার। মঙ্গলবার (১১ মে) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে।
এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া দুই কার্যদিবসেই সূচকের বড় উত্থান হলো। সেই সঙ্গে টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল শেয়ারবাজার।
মূল্য সূচক টানা বাড়ার পাশাপাশি ঈদের আগে লেনদেনের গতিও বেশ বেড়েছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন ১৪শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে টানা আট কার্যদিবস ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হলো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় প্রথম মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শেষ দিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়ে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭২৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় সূচকটি ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৭১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বাজারটিতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৭১টির এবং ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪০৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩৫২ কোটি ৩ লাখ টাকা। সেই হিসেবে লেনেদেন বেড়েছে ৫১ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল ফিড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং সিটি ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৪৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির এবং ৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।