April 26, 2024, 2:32 am
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী লেখাপড়া করেই অনেক বড় হতে হবে: ঢাবি উপাচার্য লক্ষ্মীপুরে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ

স্বামীর কাছে ফিরতে চাওয়ায় আসমাকে খুন করেন প্রেমিক

স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক আবুল কাসেম (৫১) ভারতে নিয়ে খুন করেন আসমাকে। হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ মাস পর পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিবি) সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করা আবুল কাসেমকে আটক করেছে। গত শুক্রবার (৩০ মে) ভোর যশোর ডিবির একটি দল কৌশলে ঢাকার পল্লবী থেকে তাকে আটক করে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে ভিকটিম আসমার মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট। আটকের পর পুলিশের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেছেন কাসেম।

হত্যার শিকার আসমা যশোর শহরের পুরাতন কসবা আরবপুর পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার শাহানুর ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। অভিযুক্ত পরকীয়া প্রেমিক কাশেম শহরের পুরাতন কসবা গাজীরঘাট রোড এলাকার বশির মিয়ার ছেলে।

যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, যশোর শহরের পুরাতন কসবা আরবপুর পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার শাহানুর ইসলামের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আসমা থাকতেন নওদাগ্রামে মঞ্জু নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে। গত ১৫ জানুয়ারি আসমা ও তার খালা মনোয়ারা বেগম (৫৫) ভারতে চিকিৎসার জন্য যান। তারা সেদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁয়ে একটি হোটেলে (শ্যামাপ্রসাদ লজ) অবস্থান করেন। পরদিন সকালে হোটেলের তালাবদ্ধ কক্ষে আসমা ইসলামের মরদেহ পাওয়া যায়। বনগাঁ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় বনগাঁ থানায় একটি মামলাও করা হয়।

পরে আসমার স্বজনরা বনগাঁ থানা থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। তার ভাই আজিম উদ্দিন গত ৩০ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কাশেমের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়। মামলাটি গত ১৪ মে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।

এরপর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সোমেন দাসের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলামসহ ছদ্মবেশী একটি দল ৩০ মে ভোরের দিকে ঢাকার মিরপুর পল্লবী বাউনিয়াবাদ বস্তি বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে তারা কাশেমকে গ্রেফতার করেন। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসমা ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ঢাকার মানিকনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসমার সঙ্গে পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন কাশেম। পরকীয়ার কারণে ২০১৩ সালে আসমাকে তার স্বামী শাহানুর তালাক দেন। কিন্তু আসমা তার স্বামী শাহানুরের সঙ্গে আবার ঘর-সংসার করার সিদ্ধান্ত নিলে কাশেম তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং একপর্যায়ে ভারতে নিয়ে হোটেলে হত্যা করেন।



ফেসবুক পেইজ