April 26, 2024, 5:49 am
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী লেখাপড়া করেই অনেক বড় হতে হবে: ঢাবি উপাচার্য লক্ষ্মীপুরে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ

উৎপাদন কম,মূল্যে খুশি রায়পুরে সুপারি বাগানীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি : উৎপাদন কম হলেও বিক্রয় মূল্যে অধিক হওয়ায় খুশি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের সুপারি চাষিরা। টানা অতিবৃষ্টির কারণে এবছর সুপারি উৎপাদনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে জানিয়েছেন এখানকার বাগানীরা। বিশেষ করে অতিবৃষ্টিতে বাগানে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সুপারি গাছের মুকুল ঝরে যাওয়ার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর প্রায় অর্ধেকাংশ উৎপাদন কম হয়েছে বলে জানা যায়।

উপজেলার ৩নং বাবুরহাট এলাকার পাইকারি সুপারি বিক্রেতা সোহাগ পাটাওয়ারী জানান, এবছর উৎপাদন কম হলেও বিক্রয় মূল্য এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় ডবল পেয়েছেন বাগানীরা,এতে করে উৎপাদন কম হলেও বাগানীরা খুবই খুশী, তবে যদি জলাবদ্ধতার এই সমস্যা না হতো তাহলে এখানে এবার বাগানীরা অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারতেন। রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেই বড় বড় সুপারি বাগান রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সুপারি উৎপাদন হয়ে থাকে। সুপারি চাষের জন্য বছর জুড়ে তেমন পরিশ্রমও করতে হয়না বাগানীদের।

প্রতিবছর আশানুরুপ ফল ও পেয়ে থাকেন তারা,কিন্ত এবছর উপজেলা জুড়ে জলাবদ্ধতার কারণে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। এবছর সুপারি বিক্রয়ের শুরুতে কাঁচা সুপারি খুচরা বাজারে প্রতি পোন ২২০ টাকা থেকে ৩শ টাকা এবং প্রতি কাওন ৩২শ টাকা থেকে ৩৫শ টাকা মূল্যেও বিক্রি করতে পেরেছেন বলে জানান বিক্রেতারা। বর্তমানে মাঝামাঝি সময়ে এসে পোন প্রতি ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা হারে ক্রয় বিক্রয় হতে দেখা যাচ্ছে।

অন্যান্য বছর এ মূল্য সর্বক্ষেত্রেই অর্ধেক থাকতে দেখা গিয়েছে। অপরদিকে রায়পুর বাজারের অন্যতম সুপারি ব্যাবসায়ী সাঈদ হোসেন জুটন জানান এবার শুকনা সুপারির মূল্যও অধিক ছিল । ২৮০ টাকা থেকে ৩শ টাকা প্রতি কেজি সুপারি ক্রয় বিক্রয় হয়েছে। বিক্রেতারা এবার অনেক খুশি হয়েছে।

উল্লেখ্য,রায়পুরের এতদ্ব উপজেলা থেকে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা সুপারি,শুকনা সুপারি এবং ভেজানো সুপারি কয়েক হাজার টন দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়ে থাকে। প্রায় প্রতি বাড়ির প্রতি গৃহস্তেরই সর্ব নিম্ন ৫০ থেকে শ’খানেক সুপারি গাছ রয়েছে। রায়পুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সর্বাত্নক প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে,অন্যথায় এসমস্যা আরও ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে।



ফেসবুক পেইজ