April 26, 2024, 1:40 pm
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী লেখাপড়া করেই অনেক বড় হতে হবে: ঢাবি উপাচার্য লক্ষ্মীপুরে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ

রায়পুরে করোনার বন্ধে ঝরে পড়েছে কয়েক হাজার স্কুল শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি: ভুলে গেছে স্কুলের নাম, তবে এতটুকু মনে আছে কোন ক্লাসে পড়তো, অটোরিক্সার হ্যান্ডেল মুঠোয় চেপে ধরে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুজন টানাটানা চোখের চাহনীতে অভিযোগের সূরে বলে উঠলো ‘হেডো ভাত নাই,অটো না চালাইলে ভাত খাইয়াম কইতন ?
চলিত বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসের পার্দুভাবে যখন গত দেড়বছর ধরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঠিক তখন থেকেই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় এরইমধ্যে ঘোর অন্ধকার আর অনিশ্চয়তার জীবন নিয়ে শ্রমজীবি শিশুর খাতায় নাম লিখিয়েছে প্রায় কয়েকহাজার স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রায়পুর পৌর শহরে কিছুক্ষন ঘুরলেই দেখা মিলে এমন কয়েকজন শিশু শ্রমিকের সাথে। সজিব হোসেন বয়স ৯ কি ১০ বছর, কাজ করে রায়পুর থানা গেইটের সামনে ছোট একটি চায়ের দোকানে,বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলার কোন এক জায়গায়, ফাতেমা নামক দাসপাড়া এক মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীতে পড়তো বলে জানায় সে,মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রায়পুর এসে এখন চায়ের দোকানের ম্যাসিয়ার হয়েছে। রায়পুর প্রধান সড়কে অবস্থিত বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে নিপুন হাতে পান বানাতে দেখাযায় মুন্না নামক আরও একজনকে,সে ও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তো বলে জানায়,এখন পানের দোকানে বাবাকে সহযোগীতা করছে। মাদ্রাসায় আর যাবে কিনা এমন প্রশ্নে হতবিহ্বল মুন্না, প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে কাস্টমারের চাওয়া পানে চুন জর্দা আর খয়ের লাগাতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে সে !
সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসতেই ভ্যানগাড়ির হ্যান্ডেল মুঠোয় ছেপে ধরে রাস্তা পার হতে দেখাযায় মাহবুব আলম নামের আরেকজনকে, সেও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তো বলে জানায়, কোন স্কুলে পড়তে? এমন প্রশ্নের জবাবে আমতা আমতা করে হাতের ঈশারায় দেখিয়ে দিয়ে বললো ঐদিকে কলেজের পাশের স্কুলে, অনেক চেষ্টা করেও স্কুলের নাম মুখে আনতে পারেনি সে ! মোহাম্মদিয়া হোটেলের সামনে দেখা মেলে অটোরিক্সা চালক সুজন নামের ১২/১৩ বছরের এক ছেলের সাথে,সড়ক বাতির আলো অটোরিক্সার সামনের কাঁচ ভেদ করে ঝলঝল করে উঠতে দেখাযায় সুজনের চাঁদ মুখখানা, লাইটের আলোতে যেন প্রমানিত আসলেই তার নাম সুজন। কেন সে অটো রিক্সা চালায়,জানতে চাইলে অভিযোগের সূরে জবাব মেলে ‘হেডো ভাত নাই,অটো না চালাইলে ভাত খাইয়াম কইতন ? সেও সঠিকভাবে বলতে পারেনি স্কুলের নাম ! এভাবেই অত্র উপজেলায় ঝরে পড়ছে হাজার হাজার স্কুল শিক্ষার্থী । উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল হকের সাথে ঝরেপড়া শিক্ষার্থী সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্কুল খোলার আগে এই সংখ্যা আসলে সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়,তবে অনলাইন কøাস বা এসাইনম্যান্ট জমা না দেওয়া অনুপস্থিতি রয়েছে প্রায় ১৫ থেকে ২০% । শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন এখানকার অভিভাবকরাও ।



ফেসবুক পেইজ