নিজস্ব প্রতিবেদক : রাতদিন অবিরাম ছুটে চলা,কখনো কখনো নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে জনগনের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে নিজেরাই যেন হারিয়ে ফেলেন নিজেদের আত্নপরিচয়, এদের একজন হচ্ছেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী,অরেকজন হচ্ছেন রায়পুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল জলিল। অন্যায়ের কাছে মাথানত না করা,বা যেকোন সন্মুখ পরিস্থিতিতে তাদের দুর্দান্ত মোকাবেলার শক্তি,সাহস,মেধা,প্রজ্ঞার কথা আজ রায়পুর উপজেলার প্রতিটি মানুষ তথা প্রতিটি ঘরে ঘরে সমাদৃত।
⇓
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) এর শুরু লগ্ন থেকেই রায়পুরে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে স্বল্পয়ায়ী মানুষ গুলোকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ইএনও সাবরীন চৌধুরী। পরম মমতা আর আদর সোহাগের মধ্যে দিয়ে রায়পুরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত শিশুর প্রতি তার স্নেহের আঁচল উপহার ছিল একজন মমতাময়ী মা’য়ের ভালোবাসার প্রথম চিরকুট । এসময় সাবরীন চৌধুরীকে অনেকে ভালোবেসে আদরীনি বোনের আসনে আবার কেউবা স্নেহধন্য মেয়ের আসনে ঠাঁই দিতেও এতটুকু কার্পণ্য করেননি। জনগণের দোর গোড়ায় সেবা পৌঁছাতে গিয়ে নিজেই ভুলে যান নিজের গর্ভজাত ছোট্র ছেলেটির কথা,ভুলে যান নিজেরও একটি শিশু সন্তান রয়েছে,তার ব্যক্তিগত ফেসবুক স্ট্যাটাসে মনের অজান্তে একথা অনেকবার ইনিয়ে বিনিয়ে লিখতে গিয়েও নিজের দায়িত্ব আর কর্মের প্রতি নিষ্ঠার রাহুগ্রাসে যেন নিজেই খাঁচায় বন্ধি হয়ে পড়ে যান সেটাই প্রতিয়মান হয়েছেন। তার হাত ধরে রায়পুর উপজেলায় এসেছে ব্যপক পরিবর্তন, তার বুদ্ধিমত্তা,সততা,নিষ্ঠা আর মেধার প্রতি রায়পুরবাসী চীর কৃতজ্ঞ থাকবে।
⇓
একইভাবে ওসি আবদুল জলিল রায়পুরে অপরাধীদের জন্য ত্রাস হয়ে সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন,মাদকদ্রব্য নিরসন,থানাকে দালাল মুক্ত রাখা,অন্যায় তদবির কারীদের জন্য তিনি চোখের বিষ আর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেও সহজ সরল মানুষ আর পথহারা পথিকের জন্য তিনি তার মহানুভবতার হাতকে প্রসস্থ করে এই রায়পুর উপজেলায় আরেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। পুলিশের প্রতি মানুষের ভ্রান্ত ধারনার তিনি নিয়ে এসছেন আমুল পরিবর্তন। এই দুই রত্নগর্ভার প্রতি রায়পুরের মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা,স্নেহ,শ্রদ্ধা,সন্মান অটুট থাকুক যুগযুগ ধরে এটাই প্রত্যাশা।