আমাদের লক্ষ্মীপুর ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা আতঙ্কে দেশে এরই মধ্যে বেড়েছে সবধরণের চালসহ নিত্যপণ্যের দাম। বাজারে চালসহ নিত্যপণ্যের সংকট মোকাবেলায় বাজার মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে এক বস্তার (৫০ কেজি) বেশি চাল কিনতে হলে সংশ্লিষ্ট দোকানে ক্রেতার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নিবন্ধন করতে হবে।জানা গেছে, এ বিষয়ে শিগগিরই রাজধানীর চাল ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর কাছে চিঠি দেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা ১০০ টিমের সদস্যদের এ বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সম্পর্কিত খবরনারায়ণগঞ্জে চাল-পেঁয়াজের ১৪ আড়তকে জরিমানাতেঁতুলিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে চাল ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে জরিমানাটাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থী নিহত চালের বাজার সহনীয় রাখতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এসব চিঠিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মাধ্যমে করোনার কারণে যেন চালের দাম না বাড়ানো হয় সে ব্যাপারে সহযোগিতা এবং বাজার মনিটরিং করতে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতি, চাল ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর নেতাদেরও চিঠি দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে চালের পর্যাপ্ত মজুদের কথা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অযৌক্তিকভাবে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। যারা দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা শুরু হয়ে গেছে। সাভারে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, একই সঙ্গে জেল দেয়া হয়েছে। আশা করি ইচ্ছামতো দাম বাড়ানো বন্ধ হয়ে যাবে। যারা কোনো কারণ ছাড়া চালের দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।তিনি আরও বলেন, শুধু আমরাই জোরদার করব না, ভোক্তা অধিদফতর, জেলা-উপজেলা প্রশাসনও অভিযান পরিচালনা করছে।খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, স্বাভাবিকভাবে চালের বাজার মনিটরিংয়ে ২৫টি টিম ছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের। পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজধানীতে এখন ১০০টি টিম চালের বাজার মনিটর করছে। ইতোমধ্যে অসাধু চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার।