নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচন কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে অত্র ইউনিয়নেরই কৃতি সন্তান,লুধুয়া ভূঁইয়া বাড়ির ভূঁইয়া পরিবারের উজ্জল নক্ষত্র বায়েজীদ ভূঁইয়ার জয় জয়কার। পুরো ইউনিয়নের সর্বসাধারণের মাঝে এখনই শুরু হয়েছে ভোটের ইমেজ। চায়ের দোকানে বইছে কথার ঝড় । এ যেন নতুন পরিবেশ নতুন আমেজ। সংগঠন প্রিয়,কর্মী বান্দব উজ্জল উচ্ছল বায়েজীদ ভূঁইয়াকে এবার চেয়ারম্যান হিসেবে বরণ করে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে এলাকার ছেলে বুড়ো সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও একই অবস্থা, বায়েজীদ সংশ্লিষ্ট নেতা কর্মীদের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে প্রতিদিনই মুখরিত থাকতে দেখা যায় তাদের নিজ নিজ আইডি গুলো। দেখলে মনে হয় বায়েজীদ ময় ফেসবুক। স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীদের গণসংযোগে প্রতিদিন ভিঁড় জমে থাকে এই হবু চেয়ারম্যানের বাড়িতে।
অপরদিকে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বায়েজীদ ভূঁইয়া বলেন, মানুষের ভালোবাসায় আমি অশ্রুশিক্ত,আনন্দিত বিমোহীত আমি কোনদিনই বুজতে পারিনি মানুষ আমাকে এত ভালোবাসবে, তাদের ভালোবাসার কাছে আমি হেরে গেছি। আমি নির্বাচন করবো এইরকম আশাবাদী ছিলাম না।
কিন্ত এই এলাকার মানুষের যেই আশা আকাঙ্খা তার প্রতিফলন ঘটাতে হয়তোবা আমি নির্বাচন করতেও পারি। তবে আমি মনে করিনা আমি কারও একার চেয়ারম্যান হব। আমি যদি নির্বাচন করিও আমি চাই আমি এই এলাকার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে যেন ঠাঁই করে নিতে পারি। সকলের ভালোবাসা যেন অর্জন করে নিতে পারি। দল-মতের উর্ধ্বে থেকে যেন সকলের পাশে দাঁড়াতে পারি সেইজন্য আমি সকলের দোয়া চাই। উল্লেখ্য, ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রায়পুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজান কামালের মৃত্যুর পর উল্লেখিত ইউনিয়নটি চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়ে যায়। বরাবরই এখানে বিভিন্ন সময় চোর-ডাকাতের উৎপাতে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। সংগবদ্ধ একটি ডাকাত চক্র এখানে অত্যন্ত কৌশলে এলাকার নিরিহজনের রাতের ঘুম হারাম করে রেখেছে। খোদ পুলিশ পরিবারের ঘরেও ডাকাতি করার নজিরবিহীন ঘটনা এখানে ঘটেছে। সংগবদ্ধ ডাকাত দল একাধিকবার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডুকে রাতে ঘুমিয়ে থাকা নারীদের উপরও নির্যাতন করার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে,কিন্ত লোক-লজ্জার ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে চাইছেন না। ছাত্রলীগ নেতা জিল্লুর রহমান,রনিসহ একাধীক নেতা কর্মীরা বলেন বায়েজীদ ভাই আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন ।
তিনি চেয়ারম্যান হয়ে যদি জন প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে এখানকার নিরিহ মানুষেরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। তার যোগ্য নেতৃত্তে আমরাও পথ চলতে সাহস এবং আস্থা রাখতে পারবো। বায়েজীদ ভূঁইয়া লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক এবং লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত বহুল আলোচিত দৈনিক আমাদের লক্ষ্মীপুর পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ।
অপরিদিকে রায়পুর উপজেলার দশটি ইউনিয়নের মধ্যে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন সবচেয়ে বড় একটি ইউনিয়ন হিসেবে বিশেষ পরিচিত। লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলাধীন, রায়পুর পৌরসভার পূর্ব দিকে ৬নং কেরোয়া ইউনিয়ন টি অবস্থিত। এর উত্তরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা, উত্তর ও পূর্ব দিকে রামগঞ্জ উপজেলার ৫নং চন্ডিপুর, ৬নং লামচর ইউনিয়ন। দক্ষিনে ৭নং বামনী ইউনিয়ন। একসময় ডাকতিয়া নদী বেষ্টিত ছিল এই ইউনিয়ন।পরে উক্ত নদীতে চর সৃষ্টি হয়ে উল্লেখিত ইউনিয়নের আবির্ভাব হয়। কালক্রমে বৃটিশ আমলে প্রখ্যাত জমিদার বাড়ী রায়পুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন মিয়ার বাড়িতে কেরোয়া ইউনিয়ন বোর্ড অফিস হিসাবে প্রতিষ্টিত হয়। এখানে শিক্ষার হার 8০%। পেশাগত ভাবে কৃষিজীবি ৬০%, ব্যবসায়ী৪০% , চাকুরিজীবি ৩০%, মৎস্যজীবি ০৫% এবং অন্যান্য পেশাজীবি রয়েছেন ২০%। মোট জনসংখ্যার ৫০% দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। কেরোয়া ইউনিয়নের আয়তন- ৪১০৪০ বর্গ কি:মি: এবং লোকসংখ্যা: ৪৫৬০০ জন, গ্রামের সংখ্যা: ০৪টি, পরিবারের সংখ্যা-৬৭৯৯টি, মৌজার সংখ্যা: ০৪টি হাট/বাজারের সংখ্যা- ৪টি,উপজেলা থেকে যোগাযোগের ব্যবস্থা- সিএনজি, ইজি বাইক,রিক্সা এবং সাইকেল। শিক্ষার হার: ৬০%(২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা- ১৪টি, বে-সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা- ২টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়- ২টি, নিম্ন মাধ্যমিক- ০২টি(জুনিয়র স্কুল ১০টি) মাদ্রাসা- ০৫টি, মহিলা মাদ্রাসা- ১টি, এই ইউনিয়নের মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রাম সমূহ গুলো হচ্ছে দক্ষিন কেরোয়া,পূর্ব কেরোয়া,উত্তর কেরোয়া,মধ্য কেরোয়া, লুধুয়া,এনায়েত পুর এবং লামচরী ।