যশোর পুলিশ লাইনে কর্মরত এক কনস্টেবলকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার তাকে আইসোলেটেড করা হয় বলে জানিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আরিফ আহমেদ।এর আগে গত ১৯ মার্চ বেনাপোল ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সদস্যকে পুলিশ লাইনে না বাড়িতে আলাদা করে রাখা হবে- সে সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি।স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ১০টার দিকে একজন পুলিশ সদস্য ওই কনস্টেবলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরি করোনা ইউনিটে শারীরিক পরীক্ষা শেষে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
অসুস্থ ওই কনস্টেবলের বরাত দিয়ে সূত্র আরও জানায়, তিনি পুলিশ লাইনে যে রুমে ছিলেন, সেই রুমের ছয় সদস্যের মধ্যে একজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ইতিপূর্বে ঢাকায় পাঠানো হয়। দু’জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। আর এই কনস্টেবলকে হাসপাতালে আনার পর হোম আইসোলেশনে পাঠানো হলো।আরএমও আরিফ আহমেদ বলেন, ‘সন্দেহভাজন এক পুলিশ কনস্টেবলকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরে করোনা ভাইরাসজনিত লক্ষণ থাকায় তাকে হোম আইসোলেশনে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।’
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একজন কনস্টেবলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে বলা হয়েছে।’
কতজন পুলিশ সদস্য হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘একজনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শনিবারের বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।’