April 26, 2024, 7:43 am
ব্রেকিং :
লক্ষ্মীপুরে তীব্র তাপদাহে বায়েজীদ ভূঁইয়ার উদ্যোগে পানি ও স্যালাইন বিতরণ লক্ষ্মীপুরে প্রশিক্ষণ শেষে ৪ শতাধিক হাস-মুরগীকে ভ্যাকসিন প্রদান লক্ষ্মীপুরে পোল্ট্রি ভ্যাকসিন প্রদান বিষয়ক প্রশিক্ষণ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বায়েজীদ ভুঁইয়ার উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তে শ্রদ্ধা লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত লক্ষ্মীপুর জেলা ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধন পূর্ব অবহিতরন সভা ও প্রশিক্ষণ লক্ষ্মীপুর সদরে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় নুরনবী চৌধুরী লেখাপড়া করেই অনেক বড় হতে হবে: ঢাবি উপাচার্য লক্ষ্মীপুরে জেলেদের মাঝে গরু বিতরণ

রামগঞ্জে আয়া নিয়োগে বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাছিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া নিয়োগের নামে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর চাকরি না হওয়ায় বার বার টাকা ফেরত চেয়েও না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক সময়ের যুবদল নেতা বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাসিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোওয়ারী বিদ্যালয়ের আয়া নিয়োগের নামে মাছিমপুর মনগাজী বাড়ির প্রতিবন্ধি আব্দুল করিমের স্ত্রী সাজুদা বেগমের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নেওয়ার পরও তাকে চাকরি না দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে স্বপ্না নামের আরেক জনকে চাকুরী দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজনের কাছ থেকে অগ্রিম কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের পচন্দের লোককে বেশী টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
আয়াপদে চাকুরি বি ত চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর মনগাজী বাড়ির প্রতিবন্ধি আব্দুল করিমের স্ত্রী সাজুদা বেগম জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে বিদ্যালয়ের আয়া পদে আমাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইকবাল পাটোওয়ারী রফাদফা শেষে আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রথমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করলেও আয়া পদের পরীক্ষা স্থগিত করেন। গত জুন মাসে ওই পদে তার নামে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য দ্বিতীয়বার প্রবেশপত্র প্রেরণ করেন এবং শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজসহ অফিশিয়াল খরচ বাবদ আরোও এক লাখ টাকা দাবী করেন। চাকুরী নিশ্চিত জেনে তিনি সুদে আরো একলাখ টাকা দেন। পরেই জানতে পারেন সভাপতি আরো বেশী টাকায় নিয়োগ পত্রটি স্বপ্না বেগম নামে আরেক জন প্রার্থীকে দিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরোও জানান একদিকে সুদের টাকা আরেকদিকে খাওয়ার অভাবে সন্তানাদি নিয়ে রাস্তায় বসার অবস্থা হয়েছে।
সাজুদা বেগমের চাচা আব্দুল মন্নান জানান, সাজুদা খোলাকাশের নিছে উপযুক্ত মেয়ে সহ সন্তাদি নিয়ে বসবাস করেন। তার শ্বামী একজন শাররীক প্রতিবন্ধী। বাড়ির পাশে স্কুল আর আমি বিদ্যালয়ে সম্পত্তি দাতা থাকা সত্ত্বে ভাতিজিকে চাকুরি নিশ্চয়তা দেওয়ার কারণে টাকা সুদে নিয়ে আমি নিজে সভাপতি কাছে লেনদেন করেছি।
বিদ্যালয় সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, ইন্টারভিউ পরীক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কার্যালয় হয়েছে। নিয়ম মোতাবেক নিয়োগ হয়েছে। আমি কোন টাকা পয়সা নেইনি, বিদ্যালয়ের দুইজন অভিভাবক সদস্য চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, আর্থিক লেনদেনকরার পর ভূমিহীন সাজুদা বেগম চাকুরি হওয়া উচিত ছিল । যেহেতু তাকে চুড়ান্ত করা হয়েছিল সেহেতু তাহাকে ব্যতিত অন্যকে আশ্বস্থ করা উচিত হয়নি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুনাজের রশিদ জানান উন্মুক্তভাবে পরীক্ষা হায়েছে। স্বচ্ছতা শতভাগ ছিল। যিনি বেশী নাম্বার পেয়েছেন তাকে নিয়োগ দানে সুপারিশ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা জানান, এ ব্যাপারে একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবশ্যই চাকুরি দেওয়ার নামে কেউ প্রতারণা করলে তাহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



ফেসবুক পেইজ